• অনিয়ম / দুর্নীতি

    দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ড্রেজার দিয়ে তাহিরপুরের শনির হাওরের বোরো জমি ভরাট করেছে ড্রেজার রাজু

      প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২০ , ২:১৩:১৭ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    সরকারী ভাবে ড্রেজার দিয়ে নদী খননের বালু ও মাটি দিয়ে দু লাখ টাকার বিনিময়ে মঙ্গলবার বিকাল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চিসকা গ্রামের সামনে শনির হাওরের বোরো ফসলী জমির মালিক-কালাম,মিজা আশরাফ,এরশাদ মিয়ার জায়গা ভরাট করেছে বালু খেকো চক্রের সাথে আতাত করে ড্রেজার রাজু।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান,দুই টাকার বিনিময়ে মঙ্গলবার বিকাল জমি ভরাট করেছে ড্রেজার রাজু। শুধু তাই না অপরিকল্পীত ভাবে বোরো ফসলী জমি বরাট করায় আশ পাশের চাষযোগ্য জমি নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে। রাজু’র খুটির জোর কোথায়। তার বিরুদ্ধে যে এই বিষয় প্রকাশ করবে তার মাটি বরাট বন্ধ ও মামলাসহ নানান ভাবে ভয় দেখায়। না হলে বলে সব ইউএন, উপজেলা চেয়ারম্যান,সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানে। তাদের জিজ্ঞেসাা করলে তারা জানে না। ফলে হয়রানীর শিকার হবার আশংকায় কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
    সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বৌলাই নদীতে অপরিকল্পীত ভাবে ড্রেজিংয়ের কারনে একদিকে নষ্ট হচ্ছে ফসলী জমি,নদীর পাড়ে বসবাসরত বাড়ি ঘর ও পরিবেশ পড়েছে হুমকির মূখের মুখে। এদিকে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে শনির হাওরের অংশে জমি ভরাট করার দৃশ্য দেখা যায়। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন,রাজু আহমেদ রাজু অটিবিএল কোম্পানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত্য প্রতিনিধি। এলাকায় বালু খেখু ড্রেজার রাজু হিসাবে পরিচিত। তিনি সরকারী নিয়ম বর্হিভূত ভাবে টাকার বিনিময়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে সরকারী ড্রেজার দিয়ে স্থানীয় শক্তিশালী বালু খেকো চক্রের সাথে আতাত করে অপরিকল্পিত ভাবে বৌলাই নদীতে মাটি খননের উত্তোলিত বালু ও মাটি দীর্ঘ দিন ধরেই উপজেলার দক্ষিনকুল,হোসেনপুর,সীমানা,মাহতাবপুর, পিরোজপুর,রসুলপুর,চিসকা গ্রামে মাটি ভরাটের নামে প্রতি শতাংশে ৩০হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা কোন কোন স্থানে আরো বেশী টাকা নিয়ে ভড়াট করার অভিযোগে গত দুমাস পূর্বে অটিবিএল কোম্পানী তাহিরপুরের দায়িত্ব থেকে তাকে বিতারিত করা হয়। এর পূর্বেও রাজু তাহিরপুর থানার সামনে থেকে জামালগড় পর্যন্ত(মধ্য তাহিরপুর,উজান তাহিরপুর,জামালগড়,সূর্যেরগাও, লক্ষীপুর,বীরনগর,ধুতমা গ্রামে)নদী খননে একেই পথ অবলম্বন করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ড্রেজার রাজু তা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
    রাজু বিতারিত হবারপর টাকা কামানোর লোভে কৌশলে আবারও সম্প্রতি ফিরে এসে বাজু চিসকা গ্রামে বৌলাই নদী থেকে অপরিকল্পীত ভাবে বালু উত্তোলন করে ফসলী জমি,নদীর পাড়ে বসবাসরত বাড়ি ঘর ও পরিবেশ হুমকির মূখে ফেলে বালু বরাটের কাজ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যেন দেখার কেউ নেই।
    আরো জানাযায়,বর্তমানে চিসকা গ্রামের উত্তর দিকে বৌলাই নদীর বুক থেকে মাটি না কেটে নদী সংলগ্ন ফসলী জমি কেটে দক্ষিন দিকের শনি হাওরের দিকে ফসলী জমি ভরাট করছে ও বালু মজুদ করে রাতের আধারে পাঠাচ্ছে অন্যত্র।
    আর স্থানীয় শক্তিশালী মহল ও প্রশাসন ম্যানেজ করছে অটিবিএল কোম্পানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত্য রাজু আহমেদ নিজেই তার সহযোগী বালখেখুদের নিয়ে আব্দুস ছাত্তার,শফিক,বাচ্ছু,শামসু মিয়াসহ অনেকেই জানান। তারা আরো জানান,নদী খননের উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখছি নদীতে কাজ শুরু করেছে টাকার বিনিময়ে।
    আব্দুন নূর,মিয়া হোসেনসহ স্থানীয় লোকজন বলেন, অটিবিএল কোম্পানীর প্রতিনিধি রাজু আহমেদ টাকার বিনিময়ে বালু ও মাটি দিয়ে গর্ত ও নিচু জমি বরাট করছে দালাল ও বালু খেকু চক্রের সহযোগীতায়। ফলে গরীব, অসহায়, হতদরিদ্ররা তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার মত সাহস পায় না। এখন শনির হাওরের বোরোজমি ভরাট করেছে টাকার বিনিময়ে। নদীতে ড্রেজার কাজের অটিবিএল কোম্পানীর প্রতিনিধি রাজু আহমেদ রাজু বলেন,আপনারা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এমপিকে জিজ্ঞাসা করেন তারা বলবে কোন ক্ষতি হচ্ছে কি না। রাজু আরো জানায়,আমার কোন বক্তব্য নাই। টাকার বিষয়ে আমি জানি না। আমার সাথে কোন কথা হয় নি লিখবেন। আমি কয়েক দিন মাদারীপুর ছিলাম গত কাল তাহিরপুর এসেছি। মাটি বরাটের বিষয়ে সব ইউএনও,উপজেলা চেয়ারম্যান আর বোরহান উদ্দিন চেয়ারম্যান জানে।
    এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিজেন ব্যনাজি জানান,আমি এই জায়গায় বরাটের বিষয়ে কিছুই জানি না। অনেকেই ফসলী জমি ড্রেজারের কারনে নষ্ট হচ্ছে জানাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    আরও খবর

    Sponsered content