• সারাদেশ

    সুনামগঞ্জ পাউবোর প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠণের ঘোষণা দিলেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী শামীম

      প্রতিনিধি ২০ এপ্রিল ২০২৩ , ২:১২:২৫ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠণপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের ঘোষণা দিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম এমপি। বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের দেখার হাওরে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ধান কাটা উৎসব-২০২৩ইং উপলক্ষ্যে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রকাশ্য সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ঐ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম.এ মান্নান এমপি,সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড.পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল হাসান,কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া,কৃষি বিভাগের মহা পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ^াস, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কৃষিবিদ সাখাওয়াৎ হোসেন সুইট,বিএডিসির চেয়ারম্যান কানাডা আওয়ামীলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম,পুলিশ সুপার এহসান শাহ,সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন,শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর,সাধারন সম্পাদক হাসনাত হোসাইন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন ও জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন প্রমুখ। এসময় তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম,আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট চান মিয়া,এডভোকেট নজরুল ইসলাম শেফু,জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু,শংকর দাস,বিমান চন্দ্র রায় ও এডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতনসহ সুনামগঞ্জের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম বলেন,কৃষক বাচঁলে বাংলাদেশ বাচঁবে এই শ্লোগানটি ধারন করেন জাতির পিতার কন্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষিবান্ধব সরকার হিসেবে কৃষক শ্রমিক,দিনমুজুরদের অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন,সুনামগঞ্জের হাওরের বোরো ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সময়মতো কৃষকরা যেন তাদের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারেন সেজন্য হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ২ শত কোটি টাকার উপরে বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি বলেন,সাংবাদিকদের সাথে আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনের যে ঘটনাটি তা পত্রপত্রিকায় নিউজ দেখেছি এটা তদন্ত হবে এবং তদন্তে প্রমানিত হলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মন্ত্রীর বক্তব্যের আগে দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকা ও দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর পত্রিকার ৩টি পৃথক প্রতিবেদন এবং তথ্য অধিকার আইনে নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে দাখিলকৃত আবেদন,সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে দাখিলকৃত আপীল আবেদনের ফটোকপি এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তথ্য প্রদান করবেন মর্মে নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদত্ত অবগতিপত্রের ফটোকপি পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল-হেলাল। এছাড়া সাংবাদিকরা লিখিতভাবে চলতি অর্থ বছরে অতিরিক্ত ৫শত পিআইসি এবং দ্বিগুন বরাদ্দ এনে সরকারের টাকা অপচয় ও আত্মসাৎ এবং কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক ও তাদের ক্যামেরা পার্সনদের রাতের বেলা অফিসে ঢেকে নিয়ে মামুন হাওলাদার কর্তৃক ১০ হাজার টাকা হারে সালামী প্রদানের ঘটনায় পানিসম্পদ মন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চান। এ

    সব সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন,চলতি অর্থ বছরে মন্ত্রণালয়ে ২ শত ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করে সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি। তাদের প্রস্তাবের উপর বিবেচনা করে মন্ত্রণালয় দুইশো কোটি টাকার উপরে বরাদ্দ প্রদান করে। তিনি বলেন,এ পর্যন্ত বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেক হয়তো পিআইসিদেরকে প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে যদি অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করা হয় এবং অপচয় ও আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব এম.এ মান্নান এমপি বলেন,বরাদ্দকৃত এ টাকা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় এগুলো রাষ্ট্রের টাকা,জনগনের টাকা। পাই পাই করে প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে সরকারকে এবং এর জন্য আমাদেরকে জবাবদিহী করতে হবে সরকার ও জনগণের কাছে।

    সুনামগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন,প্রতিবছরই নানা অজুহাতে অপ্রয়োজনীয় পিআইসি ও বরাদ্দ ভাগিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ লুটতরাজ করছে সিন্ডিকেটচক্র সংবাদপত্রের এসব সংবাদ অভিযোগ মিথ্যা নয়। পিআইসি ও বরাদ্দ আদায় এবং ভাগাভাগির মাধ্যমে আসলেই দুর্নীতি অনিয়ম হচ্ছে। গণদাবীর প্রেক্ষিতেই এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content