• সুনামগঞ্জ

    হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্ট অফিস স্টাফ খালেদা নগদ টাকা ও আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

      প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২৩ , ৬:০৯:৫০ অনলাইন সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্ট অব বাংলাদেশঅফিস স্টাফ খালেদা বেগম ইতি’র বিরুদ্ধে নগদ টাকা আত্মসাৎ ও আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এব্যাপারে বিভাগীয় কার্যালয়ের দপ্তর সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম সামাদ বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন (ডায়েরি নং ৭৪১/ তারিখ ১৫. ০২. ২০২৩) যা পরবর্তীতে মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে। মামলা নং ২২/৪০।

    প্রসঙ্গত: খালেদা বেগম ইতি, পিতা মৃত ফিরোজ মিয়া, সাং কলাম্বরপুর, আশারকান্দী, থানা জগন্নাথপুর। সে একাধিক বিবাহে আবদ্ধ। এবং তার মা ফাতেমা বেগম ও ভাই জামাল মিয়া সকল অপকর্মের হুতা বলে গ্রামবাসীর সূত্রে জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা ।

    গত ১৯/০৯/২০২০ ইং তারিখে নিজ গ্রামের জনৈক শহীদ জোর করে ধর্ষন করেছে বলে থানায় অভিযোগ দিলে সমোগ্র গ্রামের লোক অভিযোগটি মিথ্যা বলায় ১/১১/২০ ইং তারিখে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে খালেদা বেগম। ঘটনায় সহযোগী হিসাবে, তৈয়বুর ও রশিদ কেও আসামী করা হয়, সর্বশেষ ইকবাল বাহার ইন্সপেক্টর জেলা গোয়ালা সুনামগঞ্জ, তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে ধর্ষিতা মিথ্যা তথ্য দিয়ে, বিবাদী শহীদকে আসামি করে শহীদের আপন খালা লন্ডন প্রবাসীর বাড়ী দখল করে চাদা আদায়ের লক্ষে মামলা করেন। খালেদা, একজন উশৃংখল ও পরপুরুষ আসক্ত নারী। তার মা, ভাই ও জামাল মিয়ার – সহযোগিতায় অপকর্মে লিপ্ত ছিল। এর জন্য উসমানী নগর থানা খুজগীপুর গ্রামের আঃ নুরের পঙ্গু ছেলে আবুল খায়ের সাথে বিবাহ হয়। সে কিন্তু বিয়ের পরও বেবিচারী ও চরিত্র খারাপ হওয়ায় মা ও ভাই জামালের আসকারায় ৩০/০৯/২০১৩ তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর পর জনৈক লন্ডন প্রবাসীর সাথে অবাধে মেলামেশা করায় গ্রামবাসীর চাপে খালেদা কে একই উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামে, লতিব উল্লার ছেলে মনির মিয়ার নিকট গত ৫/৬/১৬ ইং তারিখে বিবাহ হয়। কাবিনে বিবাহীত না দেখিয়ে কুমারী লেখা হয়। তার পর সহজ সরল মনিরের স্ত্রী থাকাবস্থায় একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, যা পূর্বের মতো মা ও ভাই জামাল মিয়ার লোভে পড়ে, একাধিক ঘটনার পর অপর ব্যাক্তি কর্তৃক ধর্ষিত হয় বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালত তথা মানবাধিকার অফিসের সহায়তা নিয়ে টাকার লোভে হয়রানি করাই তাদের নিত্যনৈমিত্য ব্যাবসা। গ্রামের সচেতন নাগরিকদের চাপে সিলেটের প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে, তার সকল অপকর্ম’র কথা বলা হয়। যা স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক পত্রিকায় ছাপা হয়। বহুরূপী চরিত্রহীনা খালেদা ও তার পরিবার গ্রাম ছেড়ে, শহরে এসে জমজমাট ব্যাবসা শুরু করে।
    এদিকে প্রকৃতপক্ষে মানবাধিকার অফিসে খালেদাকে চরিত্র সংশোধনের লক্ষ্যে অফিস সহায়ক হিসাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। এবং সে দীর্ঘদিন কাজকর্ম বা স্বভাব চরিত্র ভালোই দেখিয়ে ছিল।

    গত ১১/২/২৩ ইং তারিখে অফিস থেকে নিরুদ্দেশ। তার পর তাকে খুজে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করা হয়, যেহেতু অফিসের ডুবলিকেট চাবি, পরিচয় পত্র তার নিকট ছিল। সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সকল অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তার নিকট রক্ষীত নগদ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনসহ জরুরি দলিল দস্তাবেজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। এগুলো না পাওয়ায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয় ২২/৪০।
    খবর নিয়ে জানা যায়, বর্তমান অবস্থান সুরতপুর গ্রামে। জনৈক লন্ডন প্রবাসী নেচার আলী নামে একজন বয়স্ক লোকের সাথে অবৈধ অবস্থায় সচেতন নাগরিকদের হাতে ধরা খেয়ে তথাকথিত বিয়ে করে মক্কিরানী খালেদা।
    সচেতন নাগরিকদের মতে এধরনের দুরাচার সমাজ থেকে দুরিভুত নাহলে, সমাজ কলুষিত হবে। এজন্য সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন।

    আরও খবর

    Sponsered content