• আন্তর্জাতিক

    ভূমিকম্পে ধংসস্তুপে মেয়ের হাত ধরে বসে আছেন অসহায় বাবা

      প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১০:২১:২৮ অনলাইন সংস্করণ

    শক্তিশালী ভূমিকম্পে রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।

    গত দুদিন ধরেই  সিরিয়া-তুরস্কে প্রচুর বৃষ্টি ও তুষারপাত হয়েছে। সোমবার ভূকম্পনের পর থেকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই রাস্তায়-পার্কে কিংবা গাছের নিচে দিনাতিপাত করছে তুরস্ক-সিরিয়ার মানুষ। প্রকৃতির নিষ্ঠুর বাস্তবতা বাধা দিচ্ছে উদ্ধারকাজেও।  

    সোমবার ভোরে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মেসুত হ্যান্সারের ১৫ বছর বয়সী মেয়ে ইরমাকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা এখনও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেননি। 

    শোকে নির্বাক বাবা বসে আছেন মেয়ের মরদেহের পাশে। আলতো করে ধরে আছেন মেয়ে ইরমাকের হাত। এএফপির এক আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মেসুত হ্যান্সারের এমনই এক অসহায়ত্বের মুহূর্ত ধরা পড়েছে।

    মেসুত হ্যান্সারের অসহায়ত্বের কাছে শোকও যেন হার মেনেছে! তার চোখে পানি নেই, রাজ্যের হতাশা আর অসহায়ত্ব তার চোখেমুখে। 

    স্কাই নিউজে গাজিয়ানতেপ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের আদানা শহরের বর্ণনা দেওয়া হয়। সেখানে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শত শত স্বেচ্ছাসেবক পৌঁছালেও বৈরী আবহাওয়া বাধ সেধেছে উদ্ধারকাজে।
     

    তুরস্কের ত্রাণ সংস্থা ইসলামিক রিলিফের কো-অর্ডিনেটর সদস্য মোহাম্মদ হামজা তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজ আওয়ার প্রোগ্রামে। 

    ভূমিকম্পের সময় তিনি তার তিন সন্তানসহ উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার আদ দানা শহরে ছিলেন। বলেন, ‘আমার বাচ্চারা ঘুমাচ্ছিল। আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না। এখন কি আমি কি তাদের জাগাব নাকি তারা ঘুমন্তই থাকবে? আমাদের তো মৃত্যু নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে তাদের কি ভয় পেতে দেওয়া ঠিক হবে? তুরস্কের শীতল আবহাওয়া নিয়েও শংকায় আছেন তিনি।

    আরও খবর

    Sponsered content