প্রতিনিধি ৪ জানুয়ারি ২০২০ , ৭:৩৯:৫২ অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জ ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যেনগর থানার বংশীকুন্ডা ইউনিউনের ২৮শে মাছিমপুর নামক গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ গৃহবধূর পরিবারের।
শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটছে বলে জানাযায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে।
এ গৃহবধূর তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিউনের নয়াবন্দ নামক গ্রামের মৃত :শাবুল মিয়ার মেয়ে ফুলবানু(১৮)।
গৃহবধূর স্বামী ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যেনগর থানার আরফান আলীর ছেলে এনায়েতউল্লা(২৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, তার স্বামী আরো একটি বিয়ে করে তার অত্যাচারে আগের বউ চলে যাওয়ারা পর তাকে বিয়ে করেন এনাদের উল্লাহ্ প্রায় দুবছর আগে তাদের ধার্মিক নিয়মনীতি মেনে বিয়ে হয় তাদের তিন মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে দেন দরবার লেগেই তাকত দু’মাস তিনমাস পর পর ঝগড়া ঝামেলা পোহাতে হতো তার পরবর্তী এই গৃহবধূ তার মা -বাবা না তাকায় এতিম অবস্থায় দাদির বাড়িতে এসে তাকতেন এবারো ঝগড়া করে দাদির বাড়িতে যাওয়ার পর তার স্বামী বুঝিয়ে সুজিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যান গত বৃহস্পতিবার তবে এ যাওয়াই যে শেষ যাওয়া হবে কে বা জানতো হয়তো জানলে তার অকালে জীবন দিতে হতো না অল্প বয়সে।
তার শশুর বাড়ি যাওয়ার পরদিনই স্বামীর বাড়ি থেকে কল আসে শুক্রবার সে সকালে পানিতে গোসল করতে গিয়ে মারাগেছে।
তবে এবিষয়ে মৃত্যু গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে তার স্বামী ও শাশুড়ি কেউ তাকে তেমন সুনজর দেখতেন না এবং তার সাথে বরাবরেই ঝগড়া করতো তারা।
এছাড়াও তার দাদি শাশুড়ির কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা হাসের ফার্ম দেওয়ার জন্য হাওলাত( দ্বার ) নিয়েছিল গৃহবধূর স্বামী এনায়েতউল্লা পরবর্তীতে এ টাকা তার দাদি শাশুড়ি তার একটি ঘর নির্মানের জন্য ফেরত চাইলে তার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে রাগে ক্ষোভে তারা পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যা কান্ড ঘটিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ গৃহবধূর পরিবারের।
এদিকে গৃহবধূ কে হত্যার পর দাদি শাশুড়িকে এনায়েতউল্লা তার পাওনা ১ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও তারা জানায়।
অভিযুক্ত এনায়েতউল্লা সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওযা যায়নি।
এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম নেওয়াজ এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, আমরা এখনো বিষয়টি হত্যা না আআত্মহত্যা বলতে পারছি না ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বলা যাবে।