প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২২ , ৩:৫২:৩৩ অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ স্বাধীনঃ দেশে যে ডিজিটালের ছোয়া লেগেছে তাতে যে তরুণ-যুবক আলোকিত হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রযুক্তির পথে দেশের এই অগ্রযাত্রার স্বাক্ষী দেশের লাখো তরুন-যুবক। দেশে বসেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের কাজ করছে তারা। হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য মনে হলেও আজ তা বাস্তব ধ্রুব সত্যি।
বিশ্বসেরা মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন দেশের তরুন-যুবক থেকে শুরু করে নানান শ্রেণী পেশার মানুষ। ‘ফ্রিল্যান্সিং’করে আজ তারা নিজের পায়ে দাড়িয়েছেন। নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তারা সৃষ্টি করেছেন অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান। তাদের মধ্যে অনেকে আবার নিজের বিজনেস কোম্পানি দাড় করিয়েছেন। যেখানে রয়েছে বিদেশী গ্রাহক।
দেশে ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যেমে আসছে বৈদেশীক মুদ্রা বা রেমিটেন্স। এই রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার রাখছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান বলেছেন, দেশের সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স যোগ করেছে দেশের অর্থনীতিতে। এ আয়ের অবদান সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে।
ফ্রিল্যান্সারদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সক্ষমতা তাদের ব্যাক্তিগত জীবনেও স্বাচ্ছন্দর জন্ম দেয়। ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের অর্থ যেকোন সময় ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যেমে হাতে পেতে পারে তারা। এক সাক্ষাৎকারে সাইবার সোসাইটি আহব্বায়ক ও প্রযুক্তিবিদ মো. রাহেনুর ইসলাম বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজকরণ হবে পেপাল বাংলাদেশে চালুর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে।
এদিকে ইকমার্স আ্যাসোসিয়েশন-ইক্যাব মেম্বাররা একটি ব্যাংকের মাধ্যেমে পাসপোর্ট এনডোস করা ছাড়াই কার্ডের মাধ্যেমে বিদেশে লিমিটেড অর্থ প্রেরণ করতে পারবে। এতে করে মার্কেটিং করা আরও সহজ হবে ক্ষুদ্র উদ্দ্যেক্তাদের জন্য।