• ক‌্যাম্পাস

    দোয়ারাবাজারের আলোর বাতিঘর শহীদ স্মৃতি একাডেমী

      প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২০ , ১২:৫০:৩৩ অনলাইন সংস্করণ

    এম এ মোতালিব ভুইয়াঃ
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে ২০০২ সালে স্থাপিত হয় শহীদ স্মৃতি একাডেমী। একটু একটু করে সফলতার দেড় যুগ পেরিয়ে আধুনিক শিক্ষায় মানসম্পন্ন বিকাশে এক ধাপ এগিয়ে দোয়ারাবাজারের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে এ বিদ্যাপীঠ।

    আধুনিক ও উন্নত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে যাত্রা শুরুর পর থেকেই অসামান্য অবদান রেখে চলেছে নিজ এলাকায়।সঙ্গত কারণেই প্রত্যেক শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসা যেমন সরকারের দায়িত্ব তেমনি সমাজের প্রত্যেক নাগরিকেরও অবশ্য করণীয় একটা কাজ। এরই ধারাবাহিকতাই প্রতিটা পরিবারে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে নিজ উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ৫নং সেক্টর সদর দপ্তরের প্রাণকেন্দ্র বাশতলা চৌধুরীপাড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে শহীদ স্মৃতি একাডেমী নামে ২০০২ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।সিলেট শিক্ষাবোড কর্তৃক ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন করা হয়।

    প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শিক্ষার মান প্রসারে সৃজনশীলতার আঙ্গিকে অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে মেধাবী সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝেও। শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি কার্যদিবসসহ সাংস্কৃতিক আঙ্গিনায়ও পিছিয়ে নেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।

    স্কুলের লেখাপড়ার বাহিরেও শিক্ষাসফর, মা সমাবেশ, ক্লাস পার্টি, বার্ষিক মিলাদ, বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও জাতীয় দিবসগুলো পালন করা হয়। ভালো ফলাফলে প্রতিবছর দোয়ারাবাজার উপজেলায় শতভাগ পাসের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৪/৫জন শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি ,টেলেনপুল বৃত্তি ও এ প্লাস পেতে সক্ষম হয়। এদিকে দোয়ারাবাজারের সর্বত্র মানুষের শিক্ষার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সমন্বিত প্রচেষ্টায় শহীদ স্মৃতি একাডেমী দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে।বিগত সময়ে ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ একজন শিক্ষার্থীও ঝড়ে পড়ার কোন নজির নেই। সবাই ভাল স্কুলে সুযোগ পেয়েছে শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায় শহীদ স্মৃতি একাডেমীর পরীক্ষাথী ১৩ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেলেন ২ জন,এ পেলেন ৯ জন ও এ-২জন, ফলাফল শতভাগ।এর মধ্যে ২জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।শিক্ষাথীরা হলেন উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের নতুন বাশতলা গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী শুকুর আলী সরকার ও হোসনেয়ারা বেগমের পুত্র রাসেল আহমেদ সরকার এবং মৌলারপাড় গ্রামের ইসহাস আলী ও নুরুনন্নাহার বেগমের পুত্র নুরুল আমিন।

    প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে অভিভাবকরা জানান, শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের সাধ্যমতো খুবই যত্ন সহকারে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীকে সৃজনশীলতার আঙ্গিকে নিত্য নতুনভাবে শিখিয়ে যাচ্ছেন।তারা আরও জানান, শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার উপরও বেশ জোড় দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সকল অভিভাবকই প্রতিষ্ঠানের সফলতা কামনা করেন। স্কুলটিতে সরকারি সকল নিয়ম কানুন মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

    বাশতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ মিয়া বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী মানসম্মত পাঠদানে শহীদ স্মৃতি একাডেমী
    একটি মডেল স্কুলে পরিণত হয়েছে এলাকাবাসীর কাছে। শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদান ও অভিভাবকদের মনিটরিং এর কারণে দিন দিন এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে।

    শহীদ স্মৃতি একাডেমী অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর হতে নানা প্রতিকূলতাকে ডিঙ্গিয়ে আজ সুনামের সাথে লেখাপড়া চলছে। এটা সম্ভব হয়েছে অভিভাবক ও স্কুলের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও সমন্বয়ের কারণে। আমরা চেষ্টা করছি উন্নত ও আধুনিক শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের গড়ে তুলতে।

    উল্লেখ্য অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির সুনামগঞ্জ জেলা কো-অডিনেটর ও দোয়ারাবাজার উপজেলা কিন্ডারগাডেন এসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

    আরও খবর

    Sponsered content