• অনিয়ম / দুর্নীতি

    সুনামগঞ্জে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষিত : ফাজিলপুর ও যাদুকাটা বালুমহালে চলছে বালি উত্তোলন

      প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১:২৯:১৫ অনলাইন সংস্করণ

    আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলাধীন তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ছাড়াই সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক বালুমহাল সৃজনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত রাখা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসককে পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

    গত ৪ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আমিনুর রহমানের লিখিত এক পত্রে এ তথ্য জানা যায়। পত্রে উল্লেখ করা হয়,বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১ এর ৩ (২) অনুযায়ী বালুমহাল ঘোষণা করার জন্য বাংলাদেশ আভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) কর্তৃক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ছাড়াই জেলা প্রশাসন সুনামগঞ্জ কর্তৃক বালুমহাল ঘোষণা করে ইজারা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য বিআইডবিøউটিএ কর্তৃক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ কাজ পরিচালনা করার পর হাইড্রোগ্রাফিক চার্টের ভিত্তিতে বালু উত্তোলনের নিমিত্ত ড্রেজিং এর এলাকা চিহ্নিত করে উক্ত স্থানের উল্লেখযোগ্য বালুর পরিমাণ নির্নয়ের হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট,তফসিলসহ মৌজাম্যাপ ও প্রতিবেদন অনুযায়ী জেলা প্রশাসক উক্ত শ্রেণিভূক্ত নৌপথকে বালুমহাল ঘোষণা করবে মর্মে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১ এর বিধি ৩-এ উল্লেখ রয়েছে।

    আরো উল্লেখ্য হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করে নদী হতে বালু উত্তোলন করা হলে নৌপথ বা নদীর গতি প্রকৃতির ও জীব বৈচিত্রের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে এবং এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত বা জনস্বার্থ ক্ষুন্ন হতে পারে।

    এমতাবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলাধীন তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। আরো জানা যায়, গত ১৯ মে সুনামগঞ্জ পৌরসভার আরপিননগর নিবাসী মো.জাকির হাসান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেন। ঐ আবেদনে উল্লেখ করা হয়,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী যাদুকাটা নদীবাহিত এলাকায় বালুমিশ্রিত পাথরের পরিমাণ ৫০% এর বেশী।

    তাই যাদুকাটা নদীবাহিত এলাকাটি খনিজ সম্পদের আওতাভূক্ত হওয়া জরুরি। যাদুকাটা ১ ও যাদুকাটা-২ বালুমহাল সৃজন ও ইজারা প্রদানকে ঐ আবেদনকারী অনভিপ্রেত ও বেআইনী বলে উল্লেখ করেন।

    এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে জেলা প্রশাসনের হাতে বর্ণিত পত্র থাকার পরও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষিত হচ্ছে। এবং ফাজিলপুর বালুমহাল,যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বালুমহালে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকে দৃষ্টি এখন সকলের।

    আরও খবর

    Sponsered content