• লিড

    সুনামগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত একজন আটক তিনজন

      প্রতিনিধি ২১ জুলাই ২০২২ , ১০:২৬:৩৬ অনলাইন সংস্করণ

    এ কে মিলন সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা কলকলি ইউনিয়নের গলাখাই গ্রামে বসতভিটার জায়গা নিয়ে দু”পক্ষের মামলা মোকদ্দমার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মো. খোকন মিয়া(৫২)। তিনি গলাখাই গ্রামের হাজী ফটিক মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে আদালত প্রাঙ্গণ আইনজীবী সমিতির সামনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে তাৎক্ষণিক আইনজীবী ও জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা। আটককৃত ও মামলার আসামীরা হলেন, গলাখাই গ্রামের মোঃ লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমদ, আফরুজ মিয়ার ছেলে সাজিদ মিয়া ও আফরোজ মিয়ার সেবুল মিয়া। ঘটনায় জড়িত সাহান নামের অপর এক যুবকে পুলিশ পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই ।সরজমিনে জানা যায় গলাখাই গ্রামের নিহত খোকন মিয়ার সাথে খুনের ঘটনায় জড়িত চার ব্যক্তির জমি-জমা সংক্রান্ত দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। বৃহস্পতিবার নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে আসলে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে আইনজীবী সমিতির সামনে খোকন মিয়াকে একা পেয়ে ফয়েজ, সাজিদ, সাহান ও সেবুল এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে।

    বিষয়টি দেখে উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে এসে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতিতে আটকে রাখেন। সাহান নামের অপর একজন পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয়। তাকে আদালত এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যদের জিম্মায় দিলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। আটক তিনজনকে চাকুসহ পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবীরা। এদিকে, ছুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়াকে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে বেলা ২ টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. রফিকুল ইসলাম চুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    অপরদিকে, বেলা ২টায় দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবীদের সহযোগিতায় যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কারণ জানা হবে। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্তৃক দায়িত্ব পালনে অবহেলার কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content