সম্প্রতি ভারতের সরকার দলীয় দুই নেতা নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল এর বক্তব্যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শানে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়ার সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের আয়োজনে ১২ ই জুন রোজ রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকার পাঁচ শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অংশগ্রহণে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল কলকলিয়া ইউনিয়ন এর ১,২ এবং ৩ নং ওয়ার্ড এর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় মুহাম্মদগঞ্জ বাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে পথ সভায় মিলিত হয়।
এতে মাওলানা মোঃ আব্দুল গফফার খান আলমগীর এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মোঃ তোফায়েল আহমদ কামরান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথ সভায় বক্তব্য রাখেন শ্রীধরপাশা দারুলউলুম মাদ্রাসার মুহতামীম শায়খ মাওলানা মোঃ সাজিদুর রহমান, জগদীশপুর দাখিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল খন্দকার রুহুল আমীন, কামারখাল মন্তাজিয়া মাদ্রাসার মুহতামীম মাওলানা মোঃ আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মাওলানা মোঃ সাঈফুর রহমান সাজাওয়ার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মাওলানা মোঃ মতিউর রহমান জগন্নাথপুরী, শ্রীধরপাশা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা মোঃ সালাহউদ্দীন কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কলকলিয়া ইউনিয়ন শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ শামসুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কলকলিয়া ইউনিয়ন শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ নূর হুসেন জিলানী, মাওলানা মোঃ শাহীনুর রহমান শাহীন, মাওলানা শিব্বির আহমদ, মাওলানা মোঃ নাজমুল ইসলাম নোমান, মাওলানা মোঃ বায়েজিদ আহমদ, গলাখাল জামে মসজিদ এর ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ সরওয়ার আলম, মাওলানা মোঃ সামির উদ্দীন, আবুল হাসনাত শিবলী, মাসুদ আহমদ তালুকদার, মাওলানা মোঃ হুসাইন আহমদ ধনপুরী, হাফিজ মোঃ নূর আহমদ, রুমেন আহমদ, মাওলানা মোঃ আব্দুল হাফিজ, জগদীশপুর জামে মসজিদ এর ইমাম ও খতিব মুফতি মাওলানা মোঃ খায়রুল ইসলাম ও মোঃ জাহিদ হাসান।
এসময় পাঁচ শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি মুসলমানের নিজের জীবনের চাইতেও প্রিয় নবী (সাঃ)-এর প্রতি মহব্বত রয়েছে। তাই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য কোনো একজন মুসলিম সহ্য করতে পারে না। তাই ভারতে সম্প্রতি সে দেশের সরকারদলীয় দুই নেতার বক্তব্যে বিশ্বের মুসলিম ফুঁসে উঠেছে। অবিলম্বে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে। সেই বিস্ফোরণের দাবানলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে ভারত। এছাড়াও ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান তারা।