প্রতিনিধি ৪ জুন ২০২২ , ৩:০৯:৫৩ অনলাইন সংস্করণ
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৫নং কাজলাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব সফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত সহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,১৫ নং কাজলাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যাতায়াতের পথ দূর্গম হওয়ার ফলে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম এর অনুপস্থিত, যেখানে সরকারি চাকরির নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন অনুপস্থিতি মাসে ৩০ দিনের ৫ থেকে ৭ উপস্থিত থেকে বাকি ২৩ থেকে ২৫ দিনের হাজিরা খাতায় তুলে উপস্থিত দেখান।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ চারজন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিতিতে সহকারী তিন জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা হয়, ফলে প্রধান শিক্ষকের নেই কোনো দিকনির্দেশনা দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খাচ্ছে তিন শিক্ষক, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৪ টায়া ছুটি হওয়ার কথা থাকলে ছুটি হয় সেখানে ১ টা থেকে দেড় টায়া। যেখানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নের কথা থাকলেও শিক্ষার মান অনুন্নত রয়ে যাচ্ছে ঠিকই, চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে দিন দিন। অভিযোগ সূত্রে (২ জুন) বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় চলাকালীন সময় সংবাদকর্মী’রা সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম এর অনুপস্থিত এবং অফিস কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনা এর ছবি টানানোর অনিয়ম। সরকারি বিধি মোতাবেক যেভাবে টানানোর কথা তা ঠিক উল্টো অনিয়ম অবহেলার মধ্যে দিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে শিক্ষক সফিকুল ইসলাম। এছাড়াও অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, বিদ্যালয়ে রিফারিং এর কাজের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে বিদ্যালয়ের বাহিরের দেয়ালে সামান্য রং, পলিস্থারের কাজ করে দেখান যেখানে বরাদ্দের ২ লাখ টাকার নামে মাত্র ১ লাখ টাকার কাজ করেন বাকি ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে বলে জানা যায়। অনিয়ম ও দূর্নীতির ব্যাপারের সংবাদ কর্মী’রা প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে ফোনে তিনি অস্বীকার করেন এবং বিদ্যালয়ের না আসার কারন জানতে চাইলে তিনি ব্যাক্তিগত কারন দেখান।