হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বানিজ্যিক কেন্দ্র জগন্নাথপুর বাজার এর প্রবেশদ্বার নদীর পাড়ে অবস্থিত সবজি বাজার এর গলির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতে কাঁদা -পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। যার ফলে চলতি চলতি মৌসুমে ক্রেতা- বিক্রেতারা চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে পড়েছেন। ক্রেতা টানতে ব্যবসায়ীরা সেচ এর মাধ্যমে গলির পানি নিষ্কাশন করছেন। ব্যবসায় মান্দাভাব চলছে। এই সমস্যা অচিরেই সমাধান হবে বলে পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। আজ ১১ ই মে রোজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরস্থ জগন্নাথপুর বাজারটি পৌর সভার আওতাধীন হওয়ায় বাজার এর সবজি গলি সহ বাজার এলাকার মেইন রোডের যথাস্থানে সম্প্রতি জগন্নাথপুর পৌর সভার তত্বাবধানে ড্রেইনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে সবজি গলির ড্রেইন রাস্তা থেকে প্রায় ২৯ ইঞ্চি হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলতি মৌসুমে থেমে থেমে ও ঘুরি ঘুরি বৃষ্টিপাতে এ গলিতে কাঁদা – পানি জমে থাকে। যার ফলে ক্রেতা – বিক্রেতাকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক সময় এই সবজি গলিতে ক্রেতাদের উপচে পড়া থাকতো, সদায়পাতি করতেন। কিন্তু এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বেশীরভাগ ক্রেতাসাধারণ কাঁদা -পানি মাড়িয়ে প্রবেশ করছেন না। যার ফলে সবজি বাজার বিক্র কমে গেছে। ক্রেতা টানতে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে গলির রাস্তায় জমে থাকা পানি সেচ দিয়ে নিষ্কাশনের পাশাপাশি কাঁদা পরিস্কার করছেন। এ ব্যাপারে সুমন, রেজাউল, জমিলা বেগম ও রাসনা বেগম সহ একাধিক ক্রেতা একান্ত আলাপকালে তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, আপনি নিজ চোখে দেখছেন, সবজি গলির করুন অবস্থা। পৌর এলাকায় বসবাস করি বিধায় নিরুপায় হয়ে কাঁদা- পানি মাড়িয়ে বাজার সওদা করছি। সবজি ছাড়াতো ভূড়িভোজ হয়না। আমাদের দুর্দশা লাগবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। উপজেলার দাসনোয়া গাঁও নিবাসী সুরমান, সাদিপুর গ্রাম নিবাসী খিদীর ও চিলাউড়া গ্রাম নিবাসী সাজেদুল সহ একাধিক ব্যাক্তিকে এই সবজি বাজার এর প্রবেশ পথ মেইন রোডে দাড়িয়ে থাকাতে জিজ্ঞাসাবাদকালে তাঁরা বলেন, ইচ্ছে ছিলো কিছু তাজা সবজি ক্রয় করব। কিন্তু সবজি গলির রাস্তার যে অবস্থা ভিতরে যাওয়া সম্ভব নয়। কি আর করা ফিরেই যেতে হবে। স্থানীয় বাজারে গিয়ে আর সদাই করব। এ ব্যাপারে সবজি ব্যবসায়ী মোঃ লিটন মিয়া ও আলা – আমিন সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখেই ড্রেনেজ এর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের সবজি গলির রাস্তা কাঁদা- পানিতে একাকার হয়ে যায়। ক্রয়-বিক্রয়ের লক্ষে ক্রেতা সাধারণ এর সুবিধার্থে নিজ উদ্যোগে দিনে দুই /তিনবার বালতি দিয়ে পানি নিষ্কাশন করার পাশাপাশি কাঁদা পরিস্কার করছি। রাস্তায় কাঁদা- পান থাকায় এখানে ক্রেতাদের আসতে অনীহা। যার ফলে আমাদের ব্যবসা- বানিজ্যে ধ্বস দেখা দিয়েছে। আগের মতো ক্রেতাও আসছেননা বিক্রিও হচ্ছেনা। আমাদের ও ও ক্রেতা সাধারণ এর স্বার্থে এই দুর্দশা লাগবে পৌর কর্তৃপক্ষের নেক নজর কামনা করছি। এব্যাপারে জগন্নাথপুর পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, মুল রাস্তা থেকে ড্রেইন কিছু উঁচু হওয়ায় কাঁদা -পানির সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমার খেয়ালে আছে। ব্যবসায়ী সহ সর্বসাধারণের সুবিধার্থে কাজ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জগন্নাথপুর বাজার এর সবজি গলি সহ নদীপাড়ের রাস্তা উঁচু করার কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে। এতে ড্রেইন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হবে ইনশাআল্লাহ।