• সুনামগঞ্জ

    জগন্নাথপুরে ডাক বাংলা রোড ব্রীজ নিচের দিকে ধাবিত, জনসাধারণের ভোগান্তি

      প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২২ , ১১:৫৯:৩২ অনলাইন সংস্করণ

    হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরে ডাক বাংলা রোড ব্রীজ নিচের দিকে ধাবিত, জনসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে। সরজমিন দেখা যায় জগন্নাথপুর এর ডাক বাংলা রোড এলাকায় নলজুর নদীর উপর নির্মিত ব্রীজ নীচের দিকে ধাবিত হয়ে গেছে। যারফলে জগন্নাথপুর পৌরবাসী সহ জগন্নাথপুর উপজেলাবাসী চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে চলাফেরা করছেন। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের বুক চিড়ে বহমান নলজুর নদীর উপরে নির্মিত ডাকবাংলা রোডস্থ ব্রীজটি বিগত ১৪ ই এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নীচের দিকে ধাবিত হয়। আজ ১৬ ই এপ্রিল রোজ শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, এই ব্রীজের ধেবে যাওয়ার পরিধি আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রীজটি যানবাহন চলাচল দুরে থাক মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল সহ জনসাধারণের ক্ষেত্রে চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়েছে। যারফলে জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্ট এলাকার পার্শ্ববর্তী নলজুর নদীর উপর এর ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলাচল ও মানুষের চরম ভীর লেগেই আছে। ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে এপার ওপার হতে হচ্ছে। এদিকে ব্রীজের পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে ব্রীজটিকে কেন্দ্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও কমেন্ট আলোচনা সমালোচনার, ঝড় বইছে। উপজেলার রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনসাধারণের অনতিবিলম্বে সেতুটি মেরামতের জোর দাবি জানিয়েছেন। জগন্নাথপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিন্টু রঞ্জন ধর তার ফেইসবুক আইডির একটি স্ট্যাটাসে লিখেন- এই সেতুটি আশির দশকে জগন্নাথপুর এর সাধারণ ব্যবসায়ী তথা জনগণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুদানের সমন্বয়ে নির্মাণ শুরু হয়েছিল। এই সেতুর প্রধান উদ্যোগী ভূমিকায় ছিলেন প্রয়াত জননেতা বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুনর রশীদ হিরণ মিয়া সহ বাজারের তৎকালীন ব্যবসায়ীবৃন্দ। পরবর্তীকালে সরকারী উদ্যোগে ছাদ ঢালাই সহ আনুষাঙ্গিক কাজ সমাপ্তি করে চলাচলের উপযোগী করেছিলেন এই আসনের তৎকালীন সাংসদ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ। অত্যন্ত কষ্টের সহিত বলতে হচ্ছে নলজুর নদীখননের নামে দূর্নীতির মহোৎসব চালিয়ে এই সেতুটি ধংসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবিলম্বে সেতুটি ভেঙে পূণনির্মাণ করতে হবে। বর্তমান সময়ে জগন্নাথপুর শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জনপদ হিসেবে প্রচলিত আছে। এই শহর ব্যবহার করে সুনামগঞ্জের সকল উপজেলার মানুষ দুরান্তে পাড়ি দিতে আসে যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এই সেতুটি বন্ধ হওয়ার ফলে যে যানজটের সৃষ্টি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ঈদের বাজারের ক্রেতাদের চলাচল ও আন্তঃজেলা গাড়ি মিলে এক অচল নগরে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অতিদ্রুত সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

    আরও খবর

    Sponsered content