প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৯:০৩:০৩ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
রাজনৈতিক দলের তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলোদ্বয়ের আয়োজনে শহরের কাজির পয়েন্টস্থ লতিফা কমিউনিটি সেন্টারের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আওয়ামীলীগ,বিএনপি সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহন করেন। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিলেট বিভাগের রিজিওন্যাল প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর মো.ফরহাদ আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. রেজাউল হক,জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহ আবু নাসের,বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাকের,কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবিলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ফজলুল হক। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অশোক তালুকদার,জেলা আওয়ামী মহিলালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা ফারহানা ইমা,সালমা আক্তার চৌধুরী,প্রচার সম্পাদিকা নাসরিন বেগম,তথ্য সম্পাদিক সৈয়দা রুমা নাসের,জেলা মহিলা দলের নেত্রী এড. জয়শ্রী দেব,খাদিজা কলি,শারমিন আক্তার,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মো. শাহজাহান,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাজনৈতিক ফেলো ফারুক আহমেদ সুজন,জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম,সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক রমজানুল করিম পাপন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সদস্য ও রাজনৈতিক ফেলো রাহুল মিয়া,আজগর আলী,সাদিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা বলেন,প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তহবিল বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও সদস্যদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনা। একটি দলের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলেই এই সংগঠনগুলোর বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ফান্ডের প্রয়োজন হয় । প্রতিটি নেতাকর্মীরা নিজেদের নিকট হতে কিংবা প্রবাসীদের নিকট হতে চাদাঁ সংগ্রহের মাধ্যমে দলের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে সহজ হয়। তাই প্রতিটি দলের নেতাকর্মীরা একে অন্যর প্রতি সহনশীলতা,সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ দলের জন্য খুবই জরুরী বলে মনে করেন সবাই। তারা আরো বলেন,স্থানিয় সরকারের যে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এতে একজন চেয়ারমৗান প্রার্থীর সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার নির্বাচনী ব্যয় ধরা হলেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকার কারণে প্রার্থীরা চারগুন টাকা ব্যয় করে থাকেন। ফলে কালো টাকার প্রার্থীদের নিকট সৎ ও গ্রহনযোগ্য প্রার্থীরা অসহায় হয়ে শেষ পর্যন্ত কালো টাকার কাছে তারা পরাজিত হন। এই কালো টাকার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সকল দল ও দলের প্রার্থীদের গঠনতন্ত্র এবং স্বচ্ছতা মেনে আয় ব্যয়ের হিসাব মেনে দল ও নির্বাচনকালীন সময়ে চলতে পারলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দরা।