• যৌন নিপীড়ন

    দিরাইয়ে নারী লোভী সাফ্লাই মিলনের কুকর্মঃ মেয়ের পিতৃপরিচয়ের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন খায়রুন নেছা

      প্রতিনিধি ৩ ডিসেম্বর ২০২১ , ৯:১৭:০৭ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ আত্মীয়তার সুবাদে চেনাজানা ও অবাধ যাতায়াত ছিলো খায়রুন নেছার বাড়িতে মিলনের। পিতৃহীন দরিদ্র যুবতী খায়রুন নেছার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে শ্রমিক থেকে সাফ্লাই ঠিকাদার ও অর্থবৃত্তের মালিক বনে যাওয়া বিবাহিত মিলনের কুদৃষ্টিতে পড়ে দরিদ্র খায়রুন নেছা, বুঝতে পারেননি প্রেম ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্ধকারে জড়িয়ে পড়া তার জীবনকে ঢেকে দিবে অমাবশ্যার চাদে। ছুটি প্রেম ও প্রণয়ে জড়িয়ে সব কিছু উজার করে দেন লম্ফট মিলনকে। আনোয়ারপুর গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী সারবানুও জানতেন মেয়ের এই প্রেমলিলা আর মেলামেশার সকল কথা! কয়েক মাসের প্রেম-প্রণয়ের পর ২০১৮সালে তাদের অবৈধ মেলামেশার ফসল খায়রুন নেছার কূল আলো করে পরবর্তীতে পৃথিবীতে আসে একটি ফুটফুটে কণ্যা সন্তান। ব্যস বিপদ সংকেত আছ করতে পেরে মিলন দূরত্ব বাড়িয়ে এড়িয়ে চলতে থাকেন খায়রুন নেছাকে! তখনই খায়রুন নেছা বুঝতে পারেন মামাত ভাই দিরাই পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আনোয়ারপুর (উলুকান্দি) গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তাজিম উদ্দিন ওরফে মিলন প্রেম ও বিয়ের আশ্বাসে এতোদিন থাকে শুধুমাত্র ভোগ করেছে! শুরু করেন দৌড়ঝাঁপ তবে ততদিনে অনেক দেরী হয়েগেছে। আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি ও ৮নং ওয়ার্ডের মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে বিফল হয়ে থানা পুলিশের শরণাপন্ন হোন খায়রুন নেছা- সেখানেও মিলন টাকা আর স্থানীয় নেতাদের সাথে সম্পর্কের জোড়ে প্রভাবিত করে থেকে যান ধরা ছোয়ার বাহিরে। খায়রুন নেছা- বিচার পেতে ব্যার্থ হয়ে আমল গ্রহণকারি চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিরাইয়ে মামলা দায়ের করেন তিনি- মামলা নং-সি,আর,মো; নং-১২৩/২১ খ্রিঃ।
    সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আনোয়ারপুর (উলুকান্দি) গ্রামের সাফ্লাই ঠিকাদার মিলনের এহেন অপকর্মে দিশেহারা খায়রুন নেছা অসহায় ও হতদরিদ্র থাকায় একদিকে পিতৃপরিচয়হীন কন্যা সন্তান নিয়ে সমাজে নিগৃহীত অপরদিকে টাকা পয়সা না থাকায় সামাজিক বিচারক, থানা পুলিশ ও কোর্টকাচারীতে দৌড়েদৌড়ে দেউলিয়া হয়েছেন তিনি।
    অপরদিকে অর্থবিত্তের মালিক মিলন টাকা দিয়ে জঘন্য ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে টিকে আছেন নির্ধিদ্বায়! পাশবিক নির্মমতার শিকার খায়রুন নেছার আক্ষেপ আমার অর্থকড়ি নেই বলে কি নারীলোভী লম্ফট মিলনের বিচার হবেনা? আমার মেয়ে কি পাবেনা তার পিতৃপরিচয় এমন প্রশ্ন সমাজের কাছে, গণমাধ্যমের কাছে ও আইন আদালতের কাছে।
    এবিষয়ে অভিযুক্ত মিলন এ প্রতিনিধির কাছে সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন ওদের সাথে আমাদের জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ আছে এজন্য এগলো মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছি! একজন নারী কেন তার ইজ্জৎ সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে কোন সম্পর্ক না থাকলে সন্তানের পিতা দাবি করতে পারে? এবং খায়রুন নেছার মা আপনার ফুফু হন উনি কি মিথ্যে বলছেন ? এপ্রশ্ন এড়িয়ে শুধু মিথ্যা অপবাদ বলে দায় এড়াতে চান মিলন!

    আরও খবর

    Sponsered content