• আহত / নিহত

    ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪

      প্রতিনিধি ৩০ নভেম্বর ২০২১ , ১:০২:০৫ অনলাইন সংস্করণ

    মাহমুদ আহসান হাবিব,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥ ঠাকুরাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় বিজিবি’র গুলিতে রহিমা বেগম (৩৫) নামের আহত আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চার। সোমবার রাতে দিনাজপুর ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রহিমার। রহিমা জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের ঘিডোবপুরের আব্দুল বাকির স্ত্রী বলে তথ্য পাওয়া যায়। এর আগে ভোটের দিন রাতে বিজিবির গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ঘিডোবপুর গ্রামের সাহাবলি আহম্মেদ (৩৫) এবং গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় মোজাহারুল ইসলাম (৪০) ও অবিনাশ চন্দ্রের ছেলে আদিত্য (২০) এর। এলাকাবাসীরা জানায় , নিহতরা অনেকটা কৌতূহল নিয়ে কেন্দ্রের পাশে উপস্থিত হয়েছিলেন। নিহতদের প্রত্যেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। নিহত অদিত্য রায় এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বরত চৌকিদার খগেনের সূত্রে জানা যায়, ভোট শেষ হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণা করতে দেড়ি করছিলেন প্রিজাইডিং অফিসার। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে চশমা প্রতীকের (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামানের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে প্রিজাইডিং অফিসার নৌকার প্রার্থী শহীদ হোসেনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন। ফলাফর ঘোষণার পর কিছু এলাকাবাসী ভোটকেন্দ্র অবরুদ্ধ করে। প্রিজাইডিং অফিসার সেখান থেকে চলে যান। তবে একটি রুমে তিনজন পুলিশ সদস্যসহ ১৫/১৬ জন আনসার সদস্য আটকা পরে। খগেন জনান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রে দায়িত্বরত সদর উপজেলা ইউএনও আবু তালেব মো. সামসুজ্জামান কিছু পুলিশ ও ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্যসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় বিজিবি সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোনোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলো না। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যদের ছোড়া গুলিতে নিহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। আরও একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। এখনো তার লাশ আমাদের হেফাজতে পৌঁছায়নি।’

    আরও খবর

    Sponsered content