প্রতিনিধি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৬:৩৯:৫১ অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও থেকে মাহমুদ আহসান হাবিব: বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত ভিডিওগ্রাফি প্রতিযোগিতায় প্রথম ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন ঠাকুরগাঁও বার্ড ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: রেজাউল হাফিজ রাহী। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড হল রুমে এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন ম
ন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব, মো: মোকাম্মেল হোসেন। অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাপতি জনাব, র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির এমপি। প্রতিযোগিতার আয়োজনের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা। ছবিগুলি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থানে পর্যটন কর্মসূচির প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হবে এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের এক পরিত্যক্ত গোরস্থান থেকে দুই খেক শিয়ালের স্নেহময়ী অপূর্ব দৃশ্যের ছবি তুলে ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান ও একই সাথে বাংলার অপরুপ দৃশ্য, প্রকৃতি, দুর্লভ বন্যপ্রাণী, দুর্লভ পাখী, শরিশীপ ইত্যাদি। Wild Of Bangladesh এই শিরোনামে ভিডিওটি প্রদর্শন করা হয় ট্যুরিজম বোর্ডে। ৩’শতাধিক ভিডিওগ্রাফির মধ্যে মো: রেজাউল হাফিজ রাহী পর্যটন বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত ভিডিও প্রতিযোগিতায় সারাদেশের প্রথম স্থান ও ফটোগ্রাফিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। রাহীর বেড়ে ওঠা ঠাকুরগাঁও শহরেই। পড়াশোনা করেছেন ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে। বর্তমানে ব্যবসার পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি হিসেবে কাজ করছেন। এবং ঠাকুরগাঁও বার্ড ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক’র র দায়িত্ব পালন করছেন।
রাহী জানান, বিশ্বদরবারে নিজ মাতৃভুমিকে উপস্থাপন করা আমার কাজ। আমি শুধু ছবি তুলি না। আমি আমার মাতৃভূমিকে পৃথিবীতে উপস্থাপন করছি! আমরা যদি প্রকৃতিকে ভালোবাশি প্রকৃতি আমাদেরকে বাসযোগ্য পৃথিবী দিবে ! এজন্য আমাদের প্রকৃতির খেয়াল রাখতে হবে এবং প্রকৃতিকে ধ্বংস করা যাবে না। জানা যায়, বাবা-মায়ের আদুরের রাহী পঞ্চম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় তার বাবার ফ্লিম ক্যামেরা দিয়েই ফটোগ্রাফিতে তার পথচলা। অমিত সাহসের উৎস মেধাবী রাহী পড়া-লেখার পাশাপাশি পশু-পাখির ছবি সংগ্রহ করতে রাত-দিন ছুটে চলছেন বনে-জঙ্গলে। কলেজে পড়া অবস্থায় তার বাবা ইন্তেকাল করেন। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় বাবার রেখে যাওয়া ব্যবসার দায়িত্ব পড়ে তার কাঁধে। এক দিকে বাবার হারানোর বেদনা অন্যদিকে পরিবারের দায়িত্ব। তাতেও শখের ফটোগ্রাফিকে ভুলেননি রাহী। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি প্রকৃতিক দৃশ্য ও পশু-পাখির ছবি সংগ্রহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের বাইরে অবিরাম ছুটছেন। ইতিমধ্যে রাহী প্রাণের ঠাকুরগাঁও নামে জেলাভিত্তিক প্রামান্যচিত্র ইউটিউব এ উপস্থাপন ও জেলা পরিচিত বই প্রকাশ করে জেলাবাসীর কাছে যেমন বাহবা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তেমনি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনদের কাছ থেকেও। তার ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফির ক্যারিশমায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো প্রশংসা ঢেউয়ে ভাসছেন তিনি। তরুণ ফটোগ্রাফিকদের কাছে তিনি এখন আইডল হিসেবেই পরিচিত। শুধু তাই নন এই পর্যন্ত ছবি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩টি পুরষ্কার অর্জন করেন।