• ক‌্যাম্পাস

    ৯২ বছরেও উন্নয়ন হয়নি চুনারুঘাটের বাসুল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

      প্রতিনিধি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৭:২৬:০৮ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল বিশেষ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলা চুনারুঘাট উপজেলা ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের বাসুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টার ৯২ বছরে ও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। সরকার পক্ষ ও জমি দাতাদের মধ্য দীর্ঘ দিন যাবত বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে মামলা চলার কারনে সরকারের উন্নয়ন পায়নি বিদ্যালয়টি।১৯৩১ সালে (তৎকালীন পাকিস্তান আমল)বর্ডার অধ্যসিত এলাকা গাজীপুর ইউনিয়নের বাসুল্লা গ্রামে এই স্কুলের যাত্রা শুরু। তখনকার সময়ে হাজী মোহাম্মদ হোসেন নিজের ৩৬ শতক জমি (প্রায়)স্কুল নির্মাণের জন্যে দান করেন।সেই জায়গাতেই বাসুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে বাঁশ কাঠের ঘর তৈরি করে শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম। প্রতিষ্টার গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস থাকলেও হয়নি প্রতিষ্টানের পরিবর্তনমুলক উন্নয়ন।কাঁচাবাঁশ আর টিন নির্মিত ঘর,অগভীর নলকূপ,টিনে আবৃত টয়লেট বেহাল অবস্থায় এই স্কুলে কোন শিক্ষক থাকতে চান না।দুই শতাধিকের বেশি ছাত্রছাত্রীর পাঠদানে মাত্র ৩ জন শিক্ষক।আমাদের দুঃখের গল্পের শেষ নাই।ইতিমধ্যে মামলার রায় উচ্চ ও নিম্ন আদালত ৩ বার স্কুলের পক্ষে আসে। কিন্ত ৩ বার উচ্চ আদালতে আপিল করছে জমি দাতা যার ফলে মামলাটি নিষ্পত্তি হচ্ছিল না।এ যাবৎ আবারও স্কুলের পক্ষে রায় আসে,আশা করি শিঘ্রই পরিবর্তন হবে। এ বিষয়ে জমিদাতা সদস্য মৌলানা মাসুদ জানান, আমরা বিদ্যালয় জমি দিয়েছি।অতচ স্কুল কতৃপক্ষে নিকট থেকে কোন মুল্যায়ন পাচ্ছি না।আমাদের দেয়া এ জমির পরির্বতে অন্যতায় জমি বিনিময় দলিল করে দিয়েছি। কিন্তু কিছু লোকের কারনে তাহা সমাধান করতে পারছি না।এমন কি কমিটিতেও রাখা হচ্ছে না,কোন প্রকার যোগ সাজেশ করেন না। অন্যদের কথায় বিদ্যালয়ের মালামাল নিয়ে লুটপাটের মিথ্যা মামলা দিয়ে ভুক্তভোগী করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মামলা জটিলতার কারনেই বিদ্যালয়টি সরকারের উন্নয়ন বঞ্চিত। এ বিদ্যালয়টি পর পর একাধিক মামলায় জর্জরিত হচ্ছে। মামলা জটিলতার অবসান হওয়ার সাথে সাথেই বিদ্যালয়ের বিল্ডিং নির্মান সহ সকল উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। তিনি আশা করেন খুব শীঘ্রই এর অবসান ঘটবে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি থেকে জানা যায়,দীর্ঘ ৯২বছর আগে জমিদাতা হাজী মোহাম্মদ হোসেন স্কুল নির্মাণের জন্য জায়গা দান করেন।পরবর্তী ৪০ বছর পরে সে ও তার ভাইদের অংশীদার মূলে মালিকানা ও স্থানান্তরিত করনের দাবি মামলা করেন।যা পরপর ৫ বার স্কুল কতৃপক্ষের পক্ষে উচ্চ ও নিম্ন আদালত রায় দেয়।এই মামলার কারনেই সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহিদ এমপির বরাদ্দ কার্যক্রম নির্মাণাধীন অবস্থায় স্থগিত হয়।পরে তাদের লুঠপাট ও নষ্ট হয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়।তবে শীঘ্রই উন্নয়ন কাজ তরান্বিত করার আশ্বস্ত করেন বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি।এ দিকে স্থানীয় জনসাধারণ ও ছাত্রছাত্রীদের কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি দ্রুত সময়ে উন্নয়নের দিকে নজর দিয়ে স্কুলের সমসাময়িক পরিবেশ ফিরে দিতে।

    আরও খবর

    Sponsered content