প্রতিনিধি ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৪:৩৮:৫৫ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল বিশেষ প্রতিনিধি। সিলেটে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের মামলা, জরিমানা ও রেকারিং হয়রানির প্রতিবাদে এবং ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক সমিতি-২৭৮৫, সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন-৭০৭ এবং সিলেট জেলা অটোরিক্সা, অটোটেম্পু, শ্রমিক জোট রেজি নং-২০৯৭ এর উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং-৭০৭ এর সভাপতি এবং সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া আহমদ বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। তারপর পরিবহণ বন্ধ হয়ে যায়। পরিবহণ বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা রোজগার না করতে পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। সরকার লকডাউন শীতিল করায় পরিবহণ শ্রমিকরা আবারও কাজে ফিরে। কিন্তু সিলেটের ট্রাফিক বিভাগের অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা পরিবহন শ্রমিকদের অযথা হয়রানি করছে। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলেই মামলা ও জরিমানা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি চালিয়ে শ্রমিকরা এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা রোজগার করে। অথচ ট্রাফিক পুলিশ অযথা মামলা জরিমানা করে চালকদেরকে হয়রানি করছে। যাত্রী পরিবহণেও পাঁচ জনের জায়গায় তিনজন না নিলে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করছে। তাদের কারণে যাত্রীদেরও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। ট্রাফিক বিভাগ পরিবহণ শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে ৬ দফা দাবি না মানলে পরিবহণ ধর্মঘট দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বিআরটিএর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে চালকরা সঠিকভাবে লাইসেন্স পাচ্ছে না। আর সে সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ট্রাফিক বিভাগের কিছু পুলিশ কর্মকর্তারা। যদি বিআরটিও দূর্নীতি বন্ধ না করা হয় তাহলে আমরা বিআরটি অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হবো। মানববন্ধনে বক্তারা ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবি সমূহের মধ্যে হল- সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বর্ধিত কর প্রত্যাহার করতে হবে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ইং এর সংশোধন সহ বিধিমালা প্রণয়নের পূর্ব পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক মামলা দেওয়া এবং মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ করতে হবে। অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা, অটোবাইক, টমটম, মটরবাইক ও প্রাইভেট, কার-লাইটেস দ্বারা যাত্রী পরিবহন বন্ধ করতে হবে। সিলেট জেলায় ও মহানগরে সিএনজি অটোরিক্সার জন্য পার্কিং স্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সিলেট জেলা ও মেট্রো আর.টি.সিতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে। নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণে ও ট্যাক্স, ফিটনেস, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়নে এবং মালিকানা বদলি সহ সকল কার্যক্রমে বি.আর.টিএ সিলেটের সকল প্রকার দূর্নীতি ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক রেকারিয় সহ প্রতিযোগিতা মূলক মামলা ও জরিমানা প্রদান বন্ধ করতে হবে। সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি শাহ মো. দিলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সদস্য রাজা আহমদ রাজার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক সমিতি-২৭৮৫ এর কার্যকরি সভাপতি জামিল আহমদ, সহ-সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরী সাহাব, সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মো: বুলবুল আহমদ, অর্থ সম্পাদক মো: হানিফ মিয়া, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো; বেলাল আহমদ, প্রচার সম্পাদক ইহসানুল হক সানুর, সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন-৭০৭ এর কার্যকরি কমিটির সভাপতি মো; সুন্দর আলী খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাব উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক কাওছার আহমদ, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সদস্য মো: লিটন আহমদ, কল্যাণ সম্পাদক মো: মন্নান মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন-৭০৭ এর সদস্য তপন, বরকত আলী, আশরাফ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, সিলেট জেলা অটোটেম্পু ও অটোরিক্সা শ্রমিক জোট-২০৯৭ এর সভাপতি খলিল খাঁন, কার্যকরী সভাপতি মো: মতছির আলী, সিলেট সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং-৭০৭ এর সহ-সভাপতি আবুল হোসেন খান প্রমুখ।