প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৭:০৮:১৪ অনলাইন সংস্করণ
মাওলানা জামিল সিদ্দিকী বলেন, চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ পাহাড় দেশের ভ্রমণপিয়াসী মানুষের অন্যতম পছন্দের এক জায়গা। পাহাড়চূড়ায় প্রতিদিনই আরোহণ করেন অনেক পর্যটক। তেমনই কয়েক দিন পূর্বে সেখানে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলো সদ্য কৈশোর পেরোনো কয়েকজন মুসলিম। পাহাড়চূড়ায় উঠেছিলো তারা। প্রায় ১ হাজার ১৫২ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় উঠে তাদের একজন নামাজের প্রয়োজনে বা আল্লাহর বড়ত্ব প্রকাশে আজান দিয়েছিলো।
তাদের একজনের স্ট্যাটাসে স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আজান দিয়েছেন। মন্দিরে নয়। চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মন্দির আছে, পাহাড়ের পুরো অংশই মন্দির নয়। মনে রাখতে হবে, পাহাড়টির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। সুতরাং এ দেশের একজন নাগরিক পাহাড়ের একটি অংশে তার ধর্ম পালন বা প্রচার সাংবিধানিকভাবে অপরাধ হতে পারে না। দিগ্বিজয়ী ইসলাম প্রচারকদের কল্যাণেই ইসলাম পেয়েছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে যার যার ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার দেয়া আছে। তা সত্ত্বেও আজান দিয়ে নামাজ আদায়ের অপরাধে দুই মাদরাসাছাত্র গ্রেফতার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা বাংলাদেশ কওমী ছাত্র ফোরাম কর্তৃপক্ষ অযৌক্তিক ও ধৃষ্টতামূলক এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে মাদরাসা পড়ুয়া এই দুই ছেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
কওমী ছাত্র ফোরাম আশা করে প্রশাসন আমাদের এই দাবি যৌক্তিকতার আলোকেই আমলে নিয়ে ওই দুই মাদরাসাছাত্রকে মুক্তি দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছিয়ে দিবে।-বিজ্ঞপ্তি