প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২১ , ১০:৫১:৩০ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: বেশী বেশী করে মাছ চাষ করি,বেকারত্ব দূর করি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী সুনামগঞ্জে মিঠাপানির দেশীয় প্রজাতির রুই কাতলা,মৃগেল,কালি বাউশও গনিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির এক লাখ ১২ হাজার টাকা মূল্যের ৩৭৪ কেজি দেশীয় পোণা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের বাস্তবায়নে সদর উপজেলা পরিষদের পুকুরে ও স্থানীয় দেখার হাওরে আলাদাভাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পোনা মাছ অবমুক্ত সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোটে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) বিজন কুমার সিংহ,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান শাহরীয়ার,জেলা মৎস্য অফিসার সুনীল মন্ডল,সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন,সহকারী পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মো. জয়নাল আবেদীন,যুব উন্নয়নের ডিডি শাহ নুর আলম,সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া ও সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সীমা রানী বিশ্বাস,সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস তালুকদার,দৈনিক খবরের স্টাফ রির্পোটার মো. আকরাম উদ্দিন,সাংবাদিক আসাদ মণি প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোটে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, মৎস্যভান্ডার হিসেবে সমৃদ্ধ আমাদের হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে এক সময় ছিল যে এই হাওরের মিঠাপানিতে উৎপাদিত দেশীয় মাছ জেলাবাসীর আমিষের চাহিদা মিঠিয়ে দেশ বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হতো। কিন্তু কালের আবর্তে ও প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও মৎস্য আইন লংঘন করে কিছু অমৎস্যজীবিরা রাতের আধাঁরে লুকিয়ে মৎস্য আহরণের ফলে সেই সুস্বাদু মাছগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। তিনি বলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার এই মৎস্যভান্ডারের ঐহিত্য আবারো ফিরিয়ে আনতে মৎস্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ,মৌলভীবাজার,নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের হাওরগুলোতে মৎস্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পোণা মাছ অবমুক্ত করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদি যদি মৎস্য অধিদপ্তরের তদারকি ও মনিটরিং সঠিকভাবে করা যায় তাহলে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় মাছগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জেলার মানুষের আমিষের চাহিদা মিঠিয়ে তা আবারো দেশ বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।