প্রতিনিধি ২৫ আগস্ট ২০২১ , ৬:৪৫:৩৮ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ কুরবান নগর ইউনিয়নের শেখেরগাওঁ গ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ দেবর ও নন্দের জামাই ও নন্দের হাতে পাশবিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক অসহায় গৃহবধূ। আহতের নাম আয়াতুন নেছা (৩৫), সে শেখেরগাওঁ গ্রামের বাসিন্দা বিদেশ প্রবাসী মো: জালার উদ্দিনের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে যানা যায় স্বামী বিদেশ প্রবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামীর অবর্তমানে তিন সন্তানকে নিয়ে আয়াতুন নেছা শশুর বাড়িতে শ্বাশুড়ী আলেকজান, দেবর বিল্লাল হোসেন, ননদ আমিনা বেগমের সাথে একত্রে একই পরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। বছর খানেক আগে দেবর বিল্লাল হোসেন ও নন্দের জামাই দিলোয়ার হোসেনের কু-নজর পড়ে অসহায় গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী আয়াতুনের উপর। স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে বার বার জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নারী লোভী দেবর বিল্লাল ও নন্দের জামাই দিলোয়ার হোসেন । নিজের ইজ্জত বাচাতেঁ বার বার পারিবারিক ভাবে শশুর বাড়ির লোকজনের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েও লম্পট দেবর ও নন্দের জামাইয়ের কু-নজরের বাহিরে আসতে পারেনি আয়াতুন নেছা। কিছু দিন পর পর দেবর ও নন্দের জামাই কর্তৃক কু-প্রস্তাবের শিকার হতে থাকেন তিনি। অবশেষে গত ৫মে ২০২১ইং তারিখ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আয়াতুননেছা ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় অন্ধকারে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার জন্য তার ঘরে প্রবেশ করে জাপিয়ে পড়ে তার উপর লম্পট দেবর বিল্লাল ও নন্দের জামাই দিলোয়ার। তার সু-চিৎকারে ঘুমে থাকা তিন সন্তান জেগে উঠে লাইট জ¦ালাতেই পালিয়ে যায় লম্পট দেবর ও নন্দের জামাই। নিজের ইজ্জত রক্ষা করার জন্য আয়াতুন গত দু”মাস পূর্বে সুনামগঞ্জ সদর থানায় লম্পট বিল্লাল হোসেন ও নন্দের জামাই দিলোয়ার হোসেনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আয়াতুন নেছা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্তমান মাস খানেক পূর্বে শালিশ বৈঠকের নামে এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার পারিবারিক ভাবে মিমাংশা করার কথা বলে আপোষের সিদ্ধান্ত নেন । গত ২১ শে আগষ্ট ২০২১ইং তারিখে সদর থানায় শাশুরীকে নিয়ে সরল বিশ^াসে অভিযোগ তুলে নেন আয়াতুন নেছা। অভিযোগ তুলে নেওয়ার দু”দিন পরেই গত ২৩ আগষ্ট রাতে আবার শুরু হয় লম্পট দেবর ও নন্দের জামাই কর্তৃক তার উপর অমানবিক নির্যাতনের ষ্টিমরোলার। যানা যায় ২৩ আগষ্ট রাতে লম্পট বিল্লাল ও দিলোয়ার মিলে আয়াতুনের ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাকে শারিরিক নির্যাতন করে আহত করে এবং অজ্ঞান করে তার কানের একটি স্বর্ণের ১টি দোল ও গলায় থাকা ২বরি ওজনের একটি রুপার হার জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও ধর্ষণের চেষ্টা করে শ্লীলতাহানী করে। তিন সন্তানের চিৎকারে আশ পাশের বাসিন্দারা চলে আসতে থাকিলে হামলাকরীরা হুমকি দিয়ে চলে যায় । খবর পেয়ে সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় আয়াতুন নেছাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। এসময় দেবরের হুমকির মুখে পড়তে হয় তাদের। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । এব্যাপারে আহত আয়াতুন নেছা জানান আমি একজন অসহায় নারী, তিনটি সন্তানকে নিয়ে সংসার পরিচালনা করে আসছি। আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় বার বার আমার উজ্জত লুন্টন করার জন্য কু-প্রস্তাব দেয় আমার দেবর ও নন্দের জামাই। আমি বার বার বিচার প্রার্থী হয়ে কোন ন্যায় বিচার পাচ্ছিনা। অবশেষে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। ওয়ার্ড মেম্বার আলাউদ্দিনের কু-পরামর্শে আমাকে ন্যায় বিচারের নামে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করে আমার শাশুড়ী আলেকজান। কেন থানায় অভিযোগ দিয়েছি সেই জন্য আমার উপর আবার অমানবিক শারিরিক নির্যাতন চালায় আমার শশুর বাড়ির লোকেরা। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাইব, সুস্থ হওয়ার পর আদালতে মামলা করব। এব্যাপারে কুরবান নগর ইউ/পি সদস্য আলাউদ্দিন বলেন আমি বিষটি মিমাংশা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু লম্পট বিল্লালও দিলোয়ার বার বার মহিলার উপর নির্যাতন চালায়। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন তা না হলে যে কোন সময় অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সহিদুর রহমান জানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।