• মানববন্ধন

    বিভিন্ন দাবিতে সুনামগঞ্জে হিন্দু সংগঠনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

      প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২১ , ৬:৪৭:২৩ অনলাইন সংস্করণ

    কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: খুলনার রুপসা, সুনামগঞ্জের শাল্লা,পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে স্বাধীনতা বিরোধী একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি কর্তৃক সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভাংচুর,লুটপাঠ এবং নারী নির্যাতনসহ ঢাকার সাভারে একটি কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

    বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক এড. মলয় চক্রবর্তী রাজুর সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এড. অনুপ কুমার ধরের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক এড. বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,সিনিয়র সদস্য কাজল চন্দ্র দে,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. বিমান কান্তি রায়,সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক,পৌরসভার কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লৌহ,তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর, জেলা হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের এড.গৌরাঙ্গ পদ দাস,সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিপ্রেশ রায় বাপ্পি,সুশান্ত রায়,রবীন্দ্র দে,প্রদীপ চৌধুরী,চন্দ্রন প্রসাদ রায়,চন্দন দাস,মন্তোষ রায়,সাগর পাল,অনন্ত বণিক,অজিত দাস,শিশির তালুকদার,রাজু বনিক,অমর দাস,রিন্টু দাস ও বলাই বাবু প্রমুখ।

    নেতৃবৃন্দরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও স্বাধীনতা বিরোধী একটি মৌলবাদি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে সাম্প্রতিককালে ফেইসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খুলনার রুপসায়, সুনামগঞ্জের শাল্লা,পটুয়াখালীর কলাপাড়া ,মৌলভীবাজারের কুলাউড়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যেভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা,মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর,লুটপাঠ,নারী নির্যাতনসহ একটি কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে অপহরণের পর হত্যা ঘটনায় সারাদেশব্যাপী সংখ্যালঘু পরিবারের মাঝে একটি অজানা আতংঙ্ক চলমান থাকলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা ব্যাপক আকার ধারন করেছে। অবিলম্বে ঐ সমস্ত দুস্কুতিকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান। অন্যতায় আগামীতে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলাসহ নারীদের উপর জুলুম নির্যাতন অব্যাহত থাকলে ১৯৭১ সালে যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে প্রতিটি ধর্মের মুক্তিকামী মানুষজন যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শক্রুর মোকাবেলা করে ত্রিশলাখ শহীদও দুলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ। ঠিক ১৯৭১ সালের মতো আবারো যার যা কিছু আছে সেভাবেই হাতিয়ার নিয়ে গর্জে উঠে স্বাধীন দেশে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মৌলবাদি গোষ্ঠিদের প্রতিহত করতে আন্দোলনে নামার ও হুশিয়ারী উচ্চারন করেন নেতৃবৃন্দরা।

    আরও খবর

    Sponsered content