প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২১ , ১:১৭:২৪ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ভারী বর্ষন আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে জগন্নাথপুর এর বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যার আশংকায় জনসাধারণ আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
আজ ৩০ শে জুন রোজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গতকাল ২৯ শে জুন রোজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা, নলজুর,রত্না, ঢালিয়া ও ডাউকা নদী সহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে হাওর -বাওর খাল-বিল পানিতে ভরে গেছে। চলমান ভারী বর্ষন আর পাহাড়ী ঢল অব্যাহত থাকলে আর মাত্র এক দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পেলেই নদ-নদীর পাড় পানির নীচে তলিয়ে যাবে এবং উপজেলার নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত বাড়ী-ঘরে পানি উঠার সম্ভাবনা বিরাজ করছে। ভারী বর্ষন আর পাহাড়ী ঢলের পানি দেখে জগন্নাথপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত গ্রামের মানুষ বন্যার আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন। একেতো লকডাউন সামনে সম্ভাব্য বন্যা এ যেনো মরার উপর খারার ঘাঁ।
এ ব্যাপারে উপজেলার শ্রীধরপাশা গ্রাম নিবাসী হাছননুর,বালিকান্দী গ্রাম নিবাসী আজাদ সহ নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, মুশলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ার পাশাপাশি উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে যেভাবে নদ-নদী ও হাওরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে বন্যার আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছি।ইতিমধ্যে বাড়ীর চারপাশে পানি ঘিরে ফেলেছে। আর মাত্র এক দেড় ফুট পানি হলেই বাড়ী- ঘরে পানি উঠে পড়বে। একেতো লকডাউন কিভাবে যে দিনাতিপাত করব ভেবে কুল-কিনারা করতে পারছি না।আল্লাহই একমাত্র ভরসা।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন,ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার খোঁজ খবর রাখছি।এক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র আছে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । জনগণের দুঃখদুর্দশা লাগবে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।