স্থানীয়দের ভাস্য, শুধু মাত্র প্রশাসনের হেয়ালিপনার কারণেই খুন হতে হয়েছে শাহিন উদ্দিনকে। আওয়ামীলীগ নেতা খলিলুর রহমানের অবস্থা নিহত শাহিন উদ্দিনের মতো না হয়। প্রশাসনের এখনি জিডি মুলে যতটুকু সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
৯০ দশকে বহু সন্ত্রাসী বাহিনীর নাম আমরা শুনেছি। যেমন সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর বাহিনী, সাহাদাৎ বাহিনী, মামুন বাহিনী সহ অসংখ্য নাম। কালের পরিবর্তনে এখন তাদের নাম আর সেই ভাবে শোনা যায় না। তবে সম্প্রতি রাজধানীর পল্লবী থানাধীন এলাকায় কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে। বাউনিয়াবাধে চিকন বুদ্ধির সুদে ব্যবসায়ী বাহিনী গড়ে উঠেছে ও টাকা না পেলে বাড়ী দখল করবে এমন বাহিনীর উদয় ঘটেছে। তারা খুব চাতুর্য্যের সাথে দখল বানিজ্যের করে থাকেন বলে জানা গেছে।
এ বাহিনীর জাকির হোসেন তিনি নিরীহ মানুষের জমি ফাঁকা জমি, ঝামেলার জমি, কাগজ পত্র দুর্বল এমন জমি খুজে মালিকদের সুদে টাকা দেন। সুদের টাকা লাগানো ক্যাসিয়ার হলো তার স্ত্রী ও শাশুড়ী। জাকির শুধু সুদের টাকা কতগুন বেড়ে ৪২০ গুন হলো সেই হিসাব করেন।
গত ৪ বছর আগে সুদের টাকা রীনে জরজরিত মেসের আলী। পরে মিরপুর ১১ লাল মাটিয়া টেম্পুস্যান্ডের মোড়ে ২.৫০ কাঠা দোকান ঘর জমিসহ ২কোটি ১৪ লাখ টাকা দামে বিক্রি করেন। ৫০ লাখ টাকায় বায়না দলিল করা হয়। দলিলে উল্লেখ থাকে জমির মালিক মেসের আলী জমির সমস্ত দলিয়াদি নামজারি খাজনা খারিজ জমির সকল কাগজপত্র ঠিক করে দিবে আমি খলিলুর রহমান বাকি টাকা দিতে বাধ্য থাকিবো।
পাকা বায়না করেই টাকা নিয়ে মেছের আলী পগারপার প্রায়ই তিন-চার বছর ধরে নিরুদ্দেশ। বিভিন্ন ভাবে মেসের আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থহন খলিলুর রহমান।
পরে মেসের আলীর ঠিকানায় উকিল নোটিশ পাঠালেও কোনো সাড়াশব্দ নেই। হঠাৎ শোনা যাচ্ছে জাকির বাহিনী খলিলের সম্পদ দখল করতে মরিয়া। জাকিরের বাসার পাশেই মাদক বিক্রি চলে অবাধে। জাকির বাহিনীর সদস্যদের যত যাই ঝুট-ঝামেলা সব জাকির দেখভাল করে।
বাউনিয়াবাধে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী জমি দখলকারী কিশোর গ্যাংয়ের লিডার বোদা আলতাফ ওরফে জুতা আলতাফের দলে জাকির বাহিনী যোগ হয়েছে। দুই গ্রুপ মিলে খলিলের বড় ধরনের ক্ষতি ও কোটি টাকা মুল্যের বাড়ী দখলে মগ্ন তারা। একথা জেনে ভুক্তভোগীরা রয়েছেন বিপাকে।
নিজের জান মাল রক্ষার্থে খলিলুর রহমান পল্লবী থানায় লিখিত ডায়রি করেন। জন্য জিডি মুলে আসামী হলো (ক) মোঃ মেসের আলী, পিতাঃ রহিম উদ্দিন (খ) মোঃ জাকির হোসেন, পিতাঃ জব্বর আলী, (গ) আবুল কাশেম মানিক, পিতাঃ ওহাব আলী। সর্ব সাং বাউনিয়াবাধ। অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েও জাকির বাহিনীর ভয়ে রয়েছেন আতংকে। যে-কোন সময় এই বাহিনী দ্বারা ঘটে যেতে পারে বা হতে পারে খলিল সংবাদের হেড লাইন “পল্লবীতে আরেক শাহিন উদ্দিনের মতো খলিল হত্যা কান্ড!
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, জাকির হোসেন বিভিন্ন স্থানে এনজিও মালিক ও মানবধিকার নেতা পরিচয়ে জেলখানার ভিতরে আশা যাওয়ার সুবাদে সাজাপ্রাপ্ত পরিবারে নিকট হতে অনৈতিক অর্থ নেওয়ারও অভিযোগ উঠে। অর্থের বিনিময়ে জেলখানার ভিতর আসামীদের পরিবারের সাথে পারসোনাল ভাবে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেয় বলেও এলাকায় প্রচার রয়েছে।
জাকিরের স্ত্রী হালিমা বেগম ও শাশুড়ী নুরজাহান বেগম এলাকায় চিহ্নিত সুদে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। শাশুড়ী নুর জাহান ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে ৫০/৬০ লক্ষ টাকা মেরে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন।
এর আগে জাকিরের শাশুড়ি নুর জাহান ও স্ত্রী হালিমা দুজনে মেসের আলীকে ২/৪ লাখ টাকা সুদে দেন। তাছাড়াও মেসের আলী এলাকার বহু মানুষের নিকট হতে সুদে টাকা নিয়েছেন। পাওয়ানাদাররা টাকা চাইতে এলে মেসের আলী বাড়ী বিক্রি করে টাকা দিবেন বলে তাদের আস্বস্ত করে রাখেন। পরে খলিলুর রহমানের নিকট মেসের আলী বাড়ীটি ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা মুল্য ধরে ৫০ লাখ টাকা রেজিস্ট্রি পাকা বয়ানা দলিল করেন। পরে মেসের আলী বাড়ীর কাগজপত্র করতে দেরি করায় বাধে যত বিপত্তি। এই সুযোগে সুদের টাকা ২ লাখ টাকা থেকে সুদ বেড়ে হয়েছে ৪০ লাখ। জাকির গং সুদের টাকা না পেয়ে বাড়ী দখলের বিভিন্ন কৌশল করছে।
এদিকে মেসের আলী সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় জাকিরের স্ত্রী ও শাশুড়ীর সুদের টাকার বিনিময়ে মেসের আলীর আড়াই কাঠা জমি বাড়ী সহ বর্তমান মুল্য ২ কোটি-১৪ লাখ টাকা জমির আমমোক্তার নামা নিয়েছেন বলে ফেসবুকে লিখে পোষ্ট করেন জাকির হোসেন। এছাড়াও জাকির প্রতারণা করে বহু মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাছাড়া পল্লবী থানায় একাধিক জিডি(অভিযোগ) রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে।
মেসের আলীর নিকট থেকে স্ত্রী ও শাশুড়ীর সুদের টাকা উঠাতে না পেরে মেসের আলীর বহু মুল্যের বাড়ী জাকির তার নিজের নামে আমমোক্তার নামা কাগজ বানিয়ে মালিক দাবী করে ফেসবুক মাধ্যমে পোষ্ট করে। সেখানেও নেটিজেনরা বিরুপ মন্তব্য করে জাকির’কে ধুয়েছেন। এমন কি আওয়ামিলীগ নেতা খলিলের রাজনৈতিক শুনামক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন জাকির বাহিনী।
জাকিরের ঘনিষ্ঠরা বলেন, জাকির বাহিনীর কথা হলো ২ লাখ টাকা সুদে লাগিয়ে যদি ২কোটি টাকা মুল্যের একটা বাড়ী দখল করতে না পারি তাহলে সুদের ব্যবসা করে লাভ কি।
ভুক্তভোগী খলিল বলেন, আমি টাকা দিয়ে বাড়ী কিনেছি মেসের আলীর নিকট থেকে। ৫০ লাখ টাকা বায়না দলিল করেছি। বাকি টাকা জমির কাগজপত্র হাউজিং থেকে করে দিলে তাকে টাকা দিবো। মেসের আলীও আসেনা ফোন দিলেও সে ধরেনা, বাধ্য হয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। আমি বাড়ীর কাজ ধরবো, সে আমার সাথে যোগাযোগ না করে নানা তালবাহানা করছে জাকিরের কথা শুনে।
স্থানীয়রা বলেন জাকিরের পরিবার সুদে ব্যবসায়ী, সুদের টাকা দিতে দেরি হলে জাকির সহ তার স্ত্রী-শাশুড়ী গরিব অসহায় মানুষের বাড়ীর উপর এসে হুমকিধামকি দেয় এমনকি জোরপূর্বক ঘর দখলেরও চেষ্টা করে। এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড জাকিরের সেল্টারেই করে তার পরিবার।