ভাটি বাংলা ডেস্কঃ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৯:৩১:৫২ অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট মো: সামছুল হক চৌধুরী সম্প্রতি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব গ্রীনউইচ থেকে ডেভলপমেন্ট স্টাটিজ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল (A Study On Good Governance, Democracy And Development: Challenges For Digital Bangladesh)
মো:সামছুল হক চৌধুরী ১৯৭০ খিস্টাব্দে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ৭নং জগদল ইউনিয়নের নোয়াপাড়া-দৌলতপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা ছিলেন ভাটিবাংলার শিক্ষানুরাগী, শাহাব উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এবং ফাতেমা বেগম চৌধুরীর চতুর্থ সন্তান। দৌলতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাঠশালা পাস করার পর জগদীশ পুর সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করেন।
তার পর তিনি ১৯৮৬ সালে জগদল আলফারুক দ্বিমুখী উচচ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৮৮ সালে সিলেট সরকারী মুরারীচাঁদ কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন এবং ১৯৯৬ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের অধীনে এম এ পাশ করেন। তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
উল্লেখ্য: সামছুল হক চৌধুরী’র সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বিশেষ অবদান রাখায় ইতোমধ্যে তিনি অসংখ্য সম্মাননা খ্যাতি অর্জন করেছেন। বিশেষ করে অতীশ দীপংকর স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে ‘সনদপত্র’ এবং ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে ‘সম্মাননা পত্র’ অর্জন করেন।
মো. সামছুল হক চৌধুরীর তাঁর পিতা মরহুম আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন চৌধুরী’র নামে পারিবারিকভাবে একটি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট গঠন করে এলাকার বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করতে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত: সামছুল হক চৌধুরী’র সুনামগঞ্জ-২, দিরাই-শাল্লা আসনে গত দুই টার্মে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য পদের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
এব্যাপারে ডক্টর সামছুল হক চৌধুরী দৈনিক ভাটি বাংলা ডটকম কে বলেন পারিবারিকভাবেই তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হয়ে কাজ করছেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করে ১৯৯০ইং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ১/১১ জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশে ও প্রবাসে সক্রিয় থেকে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে নিখাঁদ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি,তিনি দেশে এসে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা জনগনের দাঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নে নির্মিত ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ ও যন্ত্রপাতি সংযোজন করে স্বাস্থ্যসেবা চালু করতে তিনি পরিকল্পনামন্ত্রীর মাধ্যমে সুপারিশ করিয়ে একটি ডিও লেটার স্বাস্হ্য মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। অপরদিকে দিরাই-শাল্লা উপজেলার ছেলে মেয়েদের বাস্তবমুখী শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সরকারিভাবে পৃথক দুটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রীর মাধ্যমে তিনি ডিও লেটার শিক্ষা মন্ত্রী কাছে হস্তান্তর করেন। সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় ছেলে- মেয়েদের খেলাধুলা তথা মানসিক বিকাশের জন্য শেখ রাসেল স্টেডিয়াম’ নির্মাণের জন্য সুপারিশ ক্রীড়া মন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন।
তিনি ছাত্রজীবনের পর থেকে পারিবারিক প্রয়োজনে দেশের বাহিরে অবস্থান করলে ও সেখান থেকেও তার রাজনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখছেন। তিনি ৩৪ বৎসর যাবৎ আওয়ামী রাজনীতি ও বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সংগঠনের সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামিতে সুনামগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আসছেন বলে তিনি জানান।