প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২১ , ১১:০৪:২২ অনলাইন সংস্করণ
আজিজুল ইসলাম ঢাকা থেকে। রাজধানীর পল্লবী ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্নে উত্তর বঙ্গ ক্যাটারিং খাবার হোটেলে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন অনেকেরই। সরেজমিন দেখা গেছে, নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বাবুর্চি ও রান্নার কাজে সহযোগীদের গা থেকে ঘাম ঝরে পড়ছে খাবারে, কাটাকুটি চলছে রাস্তার উপরেই। খাবারে পঁচা দুর্গন্ধ ভাতের সাথে মিলে চুল, তরকারীতে মিলে তেলাপোকা সিগারেটের ছাই ইত্যাদি।
তাছাড়া উত্তর বঙ্গ ক্যাটারিং হোটেলে রানাঘরের অবস্থা দুর্গন্ধযুক্ত, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। মাছ মাংস রান্না করা ও রুটি পরোয়াটা তৈরি সাধারণত রাস্তার উপর করা হয়। হোটেলের সামনে সাজসজ্জা করা অংশে খাবার খেয়ে বিল পরিশোধ করে বেরিয়ে পড়েন গ্রাহকরা। কিন্তু কোনো গ্রাহক যদি এসব হোটেলের রান্নাঘরের পরিবেশ দেখতেন তাহলে কেউই খাবার মুখে তুলতেন না। অথচ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পল্লবীতে এ ধরনের হোটেল মালিকরা ভোক্তাদের একদিকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন, অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার দিয়ে তাদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন। করোনা মহামারীতে হোটেল স্টাফদের নেই কোনো সচেতনতা পোষাক মুখে নেই মাস্ক।
এই হোটেলে বেশির ভাগ বান্দা কাস্টমার যেমন পুলিশ সদস্য, স্থানীয় দোকান্দার, দিনমুজর শ্রমিক সহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ খেতে আসে। দাম কম তাই অনেকেই মজা করে খায়। দুই তিন বছর পর মানবদেহে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে সেদিকে খেয়াল নেই তাদের।
হোটেলের সামনে সড়কের জায়গায় চুলো বসিয়ে সকাল সন্ধ্যায় পরোটা-বিকালে পুড়ি, কাবাব, চিকেনচাপ তৈরি করছে। এসব খাবার রাখা হচ্ছে খোলা স্থানে। রান্নার সামনে দিয়েই মানুষের যাতায়াত মুখের থুতু পানের চিব ফেলেছেন অবাদে। উড়ে তো যেতেই পারে খাবারে। এছাড়াও পড়ছে ধুলাবালি আর ভন ভন করছে মাছি। কড়াইগুলোতে পুরনো তেলেই চলছে ভাজাপোড়ার কাজ।
হোটেলের রান্নাঘরের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আবার বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহেরও ব্যবস্থা নেই। গ্রাহকসেবার মান একেবারেই নিম্মমানের। এ খাবার হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ হোটেলের ফুড প্রসেসিং লাইসেন্স নেই। বিশেষ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় মিরপুরে খাবার হোটেলগুলোতে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তর বঙ্গ খাবার হোটেলের মালিক বলেন, রাস্তার পাশে এভাবে খাবার বানানো বেআইনি, সবাই যেভাবে করে আমরাও সেইভাবে করছি, তারপরও আমরা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখি।
অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আযম বলেন, এমন অভিযোগে আগেও আমরা অভিযান করেছি, ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।