প্রতিনিধি ১৫ জুন ২০২১ , ৫:১১:১৩ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুর এর কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন এর মাধ্যমে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মনে নানামুখী প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
১৫ ই জুন রোজ মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায় ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার এর দক্ষিণ পার্শ্বে কুশিয়ারা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিন থেকে কয়েক হাজার ফুট পাইপ লাইন কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মাণাধীন রানীগঞ্জ ব্রীজের অপারের এপ্রোচ সড়কের পাশের খাদ পর্যন্ত টানা রয়েছে। এ পাইপ লাইনে আশা বালু মাটিতে খাদের একাংশ ভরাট হয়েছে।
ড্রেজারে থাকা শ্রমিক জবেদ বলেন, আমাদের কাজ বালু দেওয়া। ১০ দিন ধরে ছোট ছোট ড্রেজার নৌকায় আমাদের বালু দেয়। এসব বালু আমরা শুধু ড্রেজিং করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এসব বালু ব্রীজের এপ্রোচ সড়ক ও টোল প্লাজা ভবন নির্মাণ এর জন্য ক্রয় করা হচ্ছে বলে জানি।এর বাইরে কিছুই জানিনা।
এব্যাপারে স্থানীয় অনেকেই জানান, এই ড্রেজার মেশিন দিনে চালানো হয়না। রাঁতের আধাঁরে চলে। এতে প্রতিয়মান হয় যে নদীর বিভিন্ন স্থানের বালুচর থেকে কোনো অসাধু মুনাফালোভী কুচক্রী মহল এসব বালু রাতের আঁধারে উত্তোলন করে বিক্রি করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাণাধীন রানীগঞ্জ ব্রীজের এপ্রোচ ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান এএসবিএস লিমিটেড এর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এই ব্রীজের এপ্রোচ সড়ক ও টোল প্লাজা ভবন নির্মাণে আমাদের ১৫ শত লাখ ফুট বালু লাগবে। এজন্য সালেহ আহমদ নামক এক ব্যাক্তির সাথে চুক্তি হয়েছে। তিনি ৭ টাকা ফুটে বালু দিচ্ছেন।
অথচ এসব ব্যাপারে একাধিক বালু ব্যবসায়ী জানান, ছোট আস্তরের বালু ৩০ টাকা ফুটে বিক্রি হচ্ছে। তাহারা আরও বলেন, বালু মাটিকে বলা হয় বিট বালু। সেই বিট বালু বিক্রি হয় ১০/১২ টাকা করে। তাও ক্রেতারা নিতে হবে নিজ খরচে।
এই হিসাবে স্বল্প মূল্যে নিজ খরচে কিভাবে বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এনিয়ে জনমনে নানামুখী প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে জানতে সালেহ আহমদ এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।