• ইসলামি জীবন

    দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বাকেরগঞ্জের নূরানী শিক্ষা ইসলামি ইনিস্টিউট এ্যান্ড অরফ্যানেজ মাদ্রাসা

      প্রতিনিধি ৩ জুন ২০২১ , ৬:৪৯:০২ অনলাইন সংস্করণ

    গাজী আসাদুজ্জামান রাকিব|| বাকেরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ৩ কিঃমি পশ্চিমে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দক্ষিন শ্যামপুর বর্তমান যেখানে নূরানী শিক্ষা ইসলামি ইনিষ্টিটিউট এ্যান্ড অরফ্যানেজ অবস্হিত তার আশে-পাশে অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় দূর্গম এ এলাকায় ২০০৩ সালে কিছু ধর্মপ্রান মুসল্লী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বর্গের সহযোগিতায় এই প্রতিষ্টানটির পথ চলা শুরু হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় গুটি গুটি পা পা করে আজ প্রায় ১৮ বছর অতিক্রম হচ্ছে এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের।

    দিন দিন শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেলেও রয়ে গেছে নানা সমাস্য। তবে থেমে নেই মাদরাসার দ্বীনি শিক্ষা দান। প্রতিদিন ভোর থেকেই শুরু হয় এলাকার গরিব, অসহায় শিক্ষার্থীদের আরবি শিক্ষার পাঠদান। বর্তমানে এই মাদরাসাটি গোটা অঞ্চলকে দীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠার পর হতে এ মাদরাসাটি নুরানী শিশু শ্রেণি দাখিল শ্রেণি পর্যন্ত তার আপন লক্ষপানে সুনামের সহিত এগিয়ে চলছে। ৫০ শতাংশ জমির উপরে বহুতলা ভবনপ নির্মিত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। অনাবাসিক ও আবাসিক চারতলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মিত করা হয়েছে। চলিত বছরে ৮ লাখ টাকা ব্যায়ে নতুন একটি ভবনের কাজ শুরু হয়েছে যেখানে ছাত্রদের খাবারের ঘড় ও পাকের ঘড় নির্মাণাধীন কাজ চলমান।

    ইতোমধ্যে যার প্রায় ৩ লাখ টাকার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মাঃ মোঃ ইমরান হোসেন জানান, বর্তমানে এই নূরানী শিক্ষা ইসলামি ইনিস্টিউট এ্যান্ড অরফ্যানেজ প্রতিষ্ঠানটি দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে আর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য নিয়োজিত রয়েছে চার জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক। এই প্রতিষ্ঠানটি ক্যাপিটেশন থাকার পরের চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দানশীল ব্যাক্তিদের সহযোগিতা চেয়েছেন। এছাড়াও ধর্মপ্রান মুসলমান ভাইদের একান্ত সহযোগিতা কামনা করছেন মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি। এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান (এসপি অবঃপ্রাপ্ত) বলেন,সবমিলে বর্তমানে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে এই মাদ্রাসাটি,দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা সকল মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়েছে। মুসলমান সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে আমরা অবহেলিত এ জায়গায় প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার উদ্যেগ গ্রহন করেছি। প্রতিষ্ঠার পর হতে ধর্মপ্রান মুসলমানদের সাহায্য সহযোগিতায় অনেক দুর এগিয়েছে মাদরাসা। আগামীতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সকল মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহবান করছি।

    আরও খবর

    Sponsered content