প্রতিনিধি ১ জুন ২০২১ , ১১:৩৯:০৪ অনলাইন সংস্করণ
মাহামুদ আহসান হাবিব,ঠাকুরগাঁও॥ করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরন (ভারত ভেরিয়েন্ট) নিয়ে যখন দেশে আতঙ্ক বাড়ছে ঠিক তখন উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আনায় ব্যস্ত রয়েছে চোরাকারবারিরা। জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র সদস্যদের চোখে ফাকি দিয়ে এসব গরু ঢুকছে বলে অভিযোগ সীমান্তবর্তী মানুষদের।
অবৈধ পথে আনা এসব ভারতীয় গরু সময়ের ব্যবধানে পৌঁছে যাচ্ছে জেলার লাহিড়ী, নেকমরদ হাট সহ বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে। কোরবানীর বাজারকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গরু ব্যবসায়ীরা ঠাকুরগাঁওয়ে আসছেন গরু কিনতে। এতে গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে ভারত থেকে ঠাকুরগাঁও সীমান্ত এলাকাগুলোতে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ভারতীয় ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ।
তবে করোনার বিস্তার রোধে জেলার সীমান্তগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এমন দাবি বিজিবি’র। যাতে ভারত থেকে করোনাভাইরাসের জীবাণু বাংলাদেশে আসতে না পারে। জেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে বাজার মনিটরিং ।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে: ক: শহিদুল ইসলাম (পিএসসি) বলেন, ইতোমধ্যে সীমান্তে করোনা বিষয়ক প্রচারণা করাসহ সীমান্তবাসীদের জানানো হয়েছে, যে কোনো রকম অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করলেই তারা যেন বিষয়টি আমাদেরকে দ্রুত অবহিত করেন। এছাড়াও অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে টহল জোড়দার করা হয়েছে। আমাদের চোখের আড়ালে দু-চারটি চোরাপথে গরু আসতে পারে এমনটি তিনি বলেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার বিষয়ে সকল রকমের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।