• সমাজ সেবা

    সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৬ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ

      প্রতিনিধি ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১২:৪৪:২২ অনলাইন সংস্করণ

    কুলেন্দু শেখর দাস, সিনিয়র প্রতিবেদনকঃ- সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট বলেন,আজ মহান বিজয় দিবস। এইদিনটির জন্য ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে তৎকালীন প্রতিটি ধর্মের প্রায় সাড়ে সাতকোটি মানুষ জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এই দেশটিকে স্বাধীন করেছিলেন। এজন্য ত্রিশলাখ মুক্তিযোদ্ধাকে শহীদ হতে হয়েছিল ও দুথলাখ মা-বোনকে  ইজ্জত দিতে হয়েছিল। জাতি সব সময় আপনাদের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আজীবন সম্মানের সাথে স্মরণ রাখবে। তিনি বলেন স্বাধীনতা পরবর্তী একটি কুচক্রী মহল যারা মনেপ্রাণে স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি সেই সমস্ত মির্জাফররা ১৫ই আগষ্টের সেই কালো রাতে জাতির পিতাকে  স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। পরবতর্ীতে বেইমান মিজার্ফর মোস্তাকের দোসর ও স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদররা মিলে দেশের উন্নয়নকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু জাতির পিাতর সুযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ধৈযর্যশীল ও বিচরক্ষন একজন নেত্রী হিসেবে একটি অসাম্প্রদায়িকতার চেতনার লক্ষ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার করার প্রত্যয় নিয়ে এবং মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় জাতির বীর সন্তান হিসেবে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন মান উন্নয়নে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, রেশনসহ সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করেন। কিন্তু এখনো যুদ্ধ শেষ হয়নি। স্বাধীনতা বিরোধীদের পাশাপাশি ঘাপটি মেরে থাকা বেইমান মোস্তাকের অনুসারী প্রেতাত্বরা এখনো আমাদের চারপাশে সক্রিয় রয়েছে তাদের সম্র্পকে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্তক থাকার আহবান জানান। ওরা চদ্মবেশী রুপে আবিভূত হয়ে যেকোন সময় আমাদের ত্যাগের সেই মহান স্বাধীনতার উপর আঘাত করে স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
    তিনি সোমবার বিকেলে  জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্র ভবণের হলরুমে সদর উপজেলার ৬ শতাধিক নারী পূরুষ যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে মুক্তিযোদ্ধা শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট এসব কথা বলেন।
    সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মোঃ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের নিবার্হী কর্মকতার্ মোহাম্মদ এমরান হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সলিম উল্ল্যাহ, জাহাঙ্গীরন নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ানম্যান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মকসুদ আলী,মুক্তিযোদ্ধা মণির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল বরণ চৌধুরী,ডাঃ আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

    আরও খবর

    Sponsered content