প্রতিনিধি ২৭ মে ২০২১ , ১২:২৫:১০ অনলাইন সংস্করণ
আকতার সাদিকঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় নোয়াগাও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে হামলার অভিযোগে আসামির তালিকা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন শাল্লার খাশিপুর গ্রাম সহ দিরাই উপজেলার ধনপুর, চন্ডিপুর, এবং নাচনী গ্রামের অনেক মানুষ। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলো খেটে খাওয়া দিনমজুর। মামলার ভয়ে এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কত অসহায় পরিবার। গ্রামগুলোর পুরুষরা বাড়িতে না থাকায় এদিকে বেড়েছে চোর বাটপারদের উৎপাত। বাড়িতে থাকা নারী শিশুরা রয়েছে অসহায়ভাবে। সন্দেহভাজন গ্রেফতার হওয়া নাচনী গ্রামের কজন আসামি আজ জেল হাজত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে জানান, শাল্লা নোয়া গাও ঘটনার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা নিরিহ পরিবারের মানুষ, দিন আনি দিন খাই।
হামলার দিন কেউ ছিলাম মাটি কাটায় কেউ ছিলাম হাওরে কেউ ছিলাম আইসক্রিম বিক্রি করার পথে কিন্তুু আমদেরকে হঠাৎ পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমদের সাধারণ মানুষ এই বর্বর হামলার ঘটনার সাথে কোনো ভাবেই জরিত নয় কিন্তুু স্বাধীন মিয়া, ফকন মিয়া সহ আমাদের সবাইকে ব্যক্তিগত আক্রোশে মামলায় ফাসানো হয়েছে। আমাদের সন্দেহের বসে এতদিন জেলের প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছে, আমাদের বউ বাচ্চাদের কি না কষ্ট করতে হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত চাই এবং যারা নির্দোষ তাদের মুক্তি দিয়ে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানাই।
প্রঙ্গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের হিন্দু যুবক ঝুমনদাস আপন তাঁর ফেসবুক আইডিতে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তি কর পোস্ট পাবলিশ করে, এরই জের ধরে এলাকার কিছু উগ্র যুবক মিলে শাল্লার নোয়াগাও গ্রামে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেশ কিছু ঘর বাড়ি ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এতে প্রায় কোটি টাকার লোকসান দেখিয়ে মামলা করা হয় শাল্লার খাসিপুর সহ দিরাই উপজেলার চন্ডিপুর, ধনপুর,নাচনীর প্রায় দের হাজার লোকের উপর। মামলার প্রধান আসামী করা হয় যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম স্বাধীনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয় ফখর উদ্দিন ফকনকে। স্বাধীন গ্রেফতার হলেও দ্বিতীয় আসামি ফকন মিয়া সহ অনেকই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থেকে আজ বৃহস্পতিবার সুনামগন্জ জজকোর্টে হাজির হয়ে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। জেলে থাকা পুরাতন কজন সহ ফকন ও তাঁর সাথের অনেকের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাদের পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আবুল হোসেন।