• আন্তর্জাতিক

    ধর-পাকড় ও হয়রানি: ইসরাইলকে হুশিয়ারি ফিলিস্তিনের

      প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২১ , ৯:২৬:৫৫ অনলাইন সংস্করণ

    নেতানিয়াহু ও মাহমুদ আব্বাস। ফাইল ছবি

    দখলদার ইসরাইলকে হুশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকার।  ধর-পাকড় ও হয়রানি বন্ধ না হলে ইহুদিবাদী দেশটির সঙ্গে সংঘাত বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিন। রোববার ফিলিন্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইন এ সতর্কতার কথা জানান। খবর-বার্তা সংস্থা ওয়াফার।

    তিনি বলেন, ইসরাইলি দখলদার সরকারের সরসরি এসব নাশকতা বন্ধে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন দায়বদ্ধ।  পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও গাজা পুর্নগঠনে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এবং মার্কিন প্রাশাসনের সঙ্গে মিসরের প্রচেষ্টার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

    ইসরাইলি নীতির উসকানি ও উত্তেজনা বন্ধ করতে তিনি মার্কিন প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।  কারণ, ইসরাইলি সরকার এই অঞ্চলকে পেছনের সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

    এ সময় আবু রুদেনি জোর দিয়ে বলেন, জেরুজালেম নিয়ে মূল যুদ্ধ হয়েছিল এবং এটি এখনো চলামান রয়েছে।

    এদিকে আল-আকসার তদারককারী কর্তৃপক্ষ দ্য ওয়াক্ফ বলেছে, আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে বাধার মুখে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি আবেদন করলেও ৪৫ বছরের নিচে কাউকেই মসজিদটিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মসজিদে প্রবেশে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনিদের পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অন্তত তিন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।

    এর আগে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য আল-আকসায় জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি পুলিশ।

    পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণটি একই সঙ্গে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। মুসলিমরা একে আল হারাম আল শরিফ নামে ডেকে থাকেন। আর ইহুদিরা এ স্থানটিকে ডাকেন টেম্পল মাউন্ট নামে।

    ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর যখন ইসরাইল এই এলাকায় প্রবেশাধিকার পায় তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারত। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা।

    আরও খবর

    Sponsered content