প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২১ , ৯:৩৫:১০ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম (৪০) সিলেট নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার ইফতারের পূর্ব মূহুর্তে তার উপর হামলা চালায় চাচাতো ভাই দবির ও তার স্ত্রী সহ লোকজন। হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম পৌরসভার নোয়ারাই মহল্লার মৃত মতিন মিয়ার পুত্র। হামলাকারী তার চাচাতো ভাই দবির মিয়া মৃত নূর মিয়ার পুত্র। হামলার পরপরই স্থানীয়রা আহত হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম কে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় সিলেট নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ভর্তির পর থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউ-তে রয়েছেন। ৫ দিনের মধ্যে তার জ্ঞান এখনো ফিরেনি। ডাক্তাররা জানিয়েছেন হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামের অবস্থা আশংকাজনক। মোস্তফা আনোয়ার এনামের ভাই মোস্তফা দেলোয়ার পারভেজ সহ পরিবারের লোকজন সকলের কাছে হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। পারভেজ জানান,তার ব্যবসায়ী ভাই হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম সিলেটে থাকেন। পরিবারের সকলের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। ঈদের আগের দিন ইফতারের পূর্বে ইফতারি ও বাজার নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন। ঘরের পাশে আসলে চাচাতো ভাই দবির মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম তার উপর নোংরা পানি ফেলে দেয়। এ নিয়ে দবির ও দবিরের স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় এনামের। এ সময় দবির মিয়া ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম সহ তাদের সহযোগীরা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম কে। চিৎকার শুনে তিনি ও তার আরেক ভাই মোস্তফা জুবায়ের পাশের ঘর থেকে দৌড়ে আসেন। আশপাশের লোকজন ও ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন। এ সময় হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে উদ্ধার করে সিলেটের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকে তিনি আইসিইউ-তে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ উলটো মোস্তফা দেলোয়ার পারভেজকে আটক করে ঈদের দিন জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। সোমবার সে জেলহাজত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় আহত মোস্তফা আনোয়ার এনামের অপর ভাই মোস্তফা জুবায়ের বাদী হয়ে ছাতক থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় মৃত নূর মিয়ার পুত্র রকিব মিয়া ও কবির মিয়া কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দবির মিয়া ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পরদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছে। এ মামলার অন্যান্য আসামী শিহাব মিয়া, মিশু, শরীফ, জমির মোল্লা, শিউলী পলাতক রয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।