প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২১ , ৭:৪৯:৫৮ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুলঃ দিরাই উপজেলার কালনী নদী প্রকাশিত শয়তানকালী ২য় খন্ড এর পূর্ব পাড়ের চান্দপুর গ্রামের প্রকৃত প্রায় ৬শত জেলে পরিবার তাদের অধিকার হতে বঞ্চিত হওয়ার কারনে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সুনামগঞ্জ জেলা তথা সিলেট বিভাগের মধ্যে সর্ববৃহৎ জাতীগত, সরকার কতৃর্ক নিবন্ধিত প্রায় ৬শত মৎস্যজীবির গ্রাম এই চান্দপুর। তাদের একমাত্র পেশা নদীতে মাছ ধরে পরিবার পরিজনের জীবিকা নির্বাহ করা। সারা বছর মাছ ধরা ছাড়া তাদের আর কোন পেশা নাই, জমিজমাও নাই। যুগ যুগ ধরে এসব জেলে সম্প্রদায় শয়তানকালী ২য় খন্ড নদীতে মাছ ধরে স্ত্রী সন্তানাদি নিয়ে কোন রকমে বেচে আছে এবং এই নদীতে গোসল সহ দৈনন্দিনের কাজ কর্ম করে থাকে।১৪২৫ বাংলা সনে এই জলমহালটি লীজ আনার জন্য জেলেদের পক্ষে নিয়মানুযায়ী আবেদন করলে, উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি লীজ দেওয়ার জন্য মতামত প্রকাশ করলেও কোন এক কারনে প্রকৃত মৎস্যজীবি, তীরবর্তীদের বঞ্চিত করে দুরবর্তী ও অমৎস্যজীবী, দিরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সমিতিকে লীজ প্রদান কর হলে, তাহারা আমাদের অজান্তে খাজনাদি পরিশোধ করেন, উক্ত বিষযে হাজার হাজার মৎস্যজীবিরা তাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানববন্ধন করে এতে এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ রাজৈনতিক ব্যক্তিবর্গ অংশ গ্রহন করেন। বিভিন্ন দপ্তরে লীজ বাতিলের জন্য আবেদন করলে, উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগন তদন্ত করলেও কি হয় তা জানি না
তখন জেলেরা ভাগ্যের হাতে তাদেন জীবন ছেড়ে দেন। স্থানীয এমপি মহোদর সহ সকলেই নদীটির লীজ বাতিল করে জেলেদের অধিকার আদায়ে চেষ্টা করেন। অথচ আমাদের সম্মানীত শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের এই নদীটি প্রযোজন ছিল না, কারন তারা কেউই মাছ মারে না, তাদের অনেকের ছেলে মেয়ে ডাক্তার, শিক্ষক, চাকুরীজীবি তারপরও “জাল যার জলা তার” এই নীতি অনুস্মরন না করে, প্রকৃত জেলেদেরকে অধিকার হরন করে লীজ দেওয়া হয়। জেলেগন তাদের নদীঘাটে মাছ মারতে না পেরে, স্ত্রী সন্তানি নিয়ে অনাহারে থাকিয়া, কেউ কেউ দিনমজুরের কাজ করছে আবার কেউ কেউ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। জেলেদের শত শত জাল নৌকা নদীঘাটে বাধা ও শুকনোয় পড়ে আছে। ১৪২৭ বাংলা সনে সম্মানীত বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের লীজের মেয়াদ শেষ হওয়ার খবর শোনে জেলেরা আশায় বুক বেধে ছিল, এবার তারা স্থানীয় এমপি মহোদয়ের পরামর্শে জেলেদের অধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য সাধারন টেন্ডারে লীজ পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। কিন্তু জেলেদেরকে পুনরায় অধিকার বঞ্চিত করার জন্য ক্ষমতা ও টাকার প্রভাব কাটিয়ে অনৈক ভাবে চলতি নদীকে বদ্ধ জলমহাল দেখিয়ে “উন্নয়ন স্ক্রীমে” আনার চেস্টা করছেন। অথচ এই কালনী নদী প্রকাশিত শয়তানখালী ২য় খন্ড নদীটি একটি চলতি নদী, সারা বৎসর ৬০/৭০ ফুট পানি থাকে। এই নদী কোন অবস্থাতেন উন্নয়ন স্ক্রীমে দেওয়ার যোগ্য নয়। ইতি মধ্যে জেলেরা এই আবেদন বাতিলের জন্য স্থানীয় এমপি মহোদয়ের ডিও লেটার সহ জেলা প্রশাসক ও মাননীয় ভুমি মন্ত্রী মহোদয় বরাবরে আবেদন করেন। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে জেলেদের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন করা হয়। তাই উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগনে নিকট জেলেদের প্রানের দাবী সরজমিন পরিদর্শন করে উন্নয়ন স্ক্রীম বাতিল করে, সাধারন টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকৃত মৎস্যজীবী ও তীরবর্তীদেরকে লীজ দিয়ে প্রকৃত জেলেদের অধিকার ও “জাল যার জলা তার” এই নীতি বাস্তবায়ন করা হোক। এ বিষয়ে দিরাই উপজেলার চান্দপুর গ্রামের কালনী নদী প্রকাশিত শয়তানখালী ২য় খন্ড পাড়ের প্রায় ৬শত জেলেরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্শন করেছেন।