প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২১ , ৮:৪৫:৪১ অনলাইন সংস্করণ
ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন । লন্ডন শহরটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ ও ব্যাস্ততম জীবন । এ দেশে শতকরা ৯০ ভাগ লোকই কর্মজীবী, তাদের জীবিকার সন্ধানে সকাল ৭ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অবিরাম গতিতে চলে তাদের কর্মকাজ ।
আবার বাঙালি ও ইন্ডিয়ান লোকের কর্মকাজ বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট ও টেইকওতে। তাদের কর্মকাজ বিকাল ৪.৩০ (চারটা ত্রিশ ) থেকে রাত ১১.০০ টা ১২.০০ টা পর্যন্ত। বিশেষ করে লন্ডনে বিভিন্ন পেশার মানুষগুলো তাদের কর্মের সন্ধানে যাতায়াতের যানবাহন , তাই রাজধানী লন্ডন থেকে দুর দূরান্তে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের উপায় ট্রেন, বাস, প্রাইভেট কার, টেক্সি , ডমেস্টি বিমান , আন্ডারগ্রাউন ট্রেন, বিশেষ করে আন্ডারগ্রাউন ট্রেনে চলাচলের ব্যাবস্থা খুবই সহজলভ্য । প্রতি ৫ মিনিট ৩ মিনিট পর পর আন্ডারগ্রাউন ট্রেন স্টেশনে আসে । আন্ডারগ্রাউন অর্থাৎ মাটির নিচে প্রায় ৫০০ ফুট মাটির গভীরে সুরঙ্গ পথের রাস্তা । এই সুরঙ্গ পথের রাস্তায় জনসাধারণ আন্ডারগ্রাউন ট্রেনে যাতায়াত করে । লন্ডনের রাজধানীতে হিতরো বিশ্বের অন্যতম একটি ব্যাস্ত বিমান বন্দর । এ বিমান বন্দরে দিবারাত্রি বিভিন্ন দেশ হতে বিমান ওঠানামা করে, যে ভাবে গাড়ী সারি সারি ভাবে চলাচল করে সে ভাবেই হিথরোর বিমান উড়ন্ত অবস্থায় সারি সারি ভাবে বিমান অবতরন করে । হিথরো এয়ারপোর্টে বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের ইমিগ্রেশন খুবই সহজলভ্য । নির্ধারিত সময় উপযোগী, এখানে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কাজ ইমিগ্রেশন কর্তিপক্ষ ওই দ্রুত ভাবে সমাধান করেন । পাসপোর্টগুলো তাড়াতাড়ি চেক করার জন্যে উন্নত প্রযুক্তির মেশিন রয়েছে । এ মেশিনে পাসপোর্টের ফটোকপি পৃষ্টা ডুকিয়ে হাতের চাপ দিয়ে রাখলেই দুই মিনিটের ভিতরেই পাসপোর্ট ইনকোয়ারি হয়ে যায় । যদি নকল পাসপোর্টধারী থাকেন তবে মেশিনে লাল বাতি জ্বলে এলরাম বাজবে তখনী পুলিশ এসে অবৈধ পাসপোর্টধারীকে এরেস্ট করে উপযুক্ত দন্ড প্রদান করবে । “সাবধান” বাংলাদেশ ও বিভিন্ন দেশ হতে অবৈধ পাসপোর্টধারী লন্ডনে আসার চেষ্টা করবেন না, যদি আসেন তবে আইনগতভাবে লাঞ্ছিত ও দুরাবস্থার সীমা থাকবে না। তাই বৈধ ভাবে ইংল্যান্ড আসুন , ইংল্যান্ডে দেখার মত সৌন্দর্য উপভোগ করুন । লন্ডনে দেখার বিশেষ আকর্ষণীয় ট্রেমস নদীর তীরে টাওয়ার ব্রিজ সেতু । এ সেতুর দৃশ্যাবলী উপভোগ করার জন্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে অনেক পর্যটক টাওয়ার ব্রীজে আসেন । দেখার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হলো -: বিভিন্ন দেশ হতে জাহাজ যখন আসে তখন সেতু পারাপারের সুবিধায় অটোমেট্রিক ভাবে সেতুর মধ্যভাগ দুটি অংশে প্রসারিত হয়ে বিভক্ত হয়ে যায়, তখন জাহাজ চলে যেতে কোনো অসুবিধা হয় না। জাহাজ চলে যাবার পরে সেতুর দুইটি অংশ আবার সম্পুর্ণ সেতুতে রূপান্তরিত হয় যায় ।
সম্মানিত পাঠক আগামীতে ইংল্যান্ডের আরো সুন্দর আকর্ষণীয় বিষয় লিখবো। মহান রমজানের প্রত্যেকটি দিন সুস্থ্য নিরাপদে, নেক আমলে, করোনা ভাইরাস মুক্ত জীবন উপভোগ করুন।
এ কামনায়
এম এ গফ্ফার
ডার্নাল শেফিল্ড,
ইংল্যান্ড ।
১০ই রমজান ২০২১