প্রতিনিধি ১৬ মার্চ ২০২১ , ৯:১৭:৩৫ অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আল্লামা মামুনুল হক কে নিয়ে অশালীন মন্তব্য, ছবি বিকৃতি ও নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করার অপরাধে ঝুমন দাস আপন নামে এক যুবক কে গ্রেফতার করেছে সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা পুলিশ।
তার বাড়ি শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে।
ঝুমন দাস আপন নামের তার নিজস্ব আইডি থেকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব বাংলাদেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যাপক জনপ্রিয় বক্তা আল্লামা মামুনুল হক এর ছবিতে জুতার মালা যুক্ত করে বিভিন্ন আপত্তিকর ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করলে দিরাই শাল্লা সহ গোটা সিলেট বিভাগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহুর্তেই বিষয়টি ভাইরাল হতে থাকে। বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারী তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঝুমন দাস আপন কে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করে সরব হয়ে উঠলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শাল্লা থানা পুলিশ শাসখাই বাজার থেকে গ্রেফতার করে।
ঝুমন দাস আপন এর গ্রেফতার খবরে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ইসলাম প্রিয় মুসলিম জনতার মাঝে।
সুনামগঞ্জ জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি ও চান্দিপুর মাদ্রাসার মুহতামিম, দিরাই উপজেলা হেফাজতের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা নূর উদ্দিন আহমেদ বলেন ভাটি বাংলা ডটকম কে বলেন শাল্লা পুলিশ প্রশাসন তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে গ্রেফতার করায় আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। শায়খুল হাদীস ইবনে শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক সাহেব কে নিয়ে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ ও মন্তব্য এবং ছবি বিকৃতি করার ধৃষ্টতা ভবিষ্যতে যাতে কেউ দেখা না পারে এজন্য ঝুমন দাস এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের
সুনামগঞ্জ জেলা নেতা ও সিলেট জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল খালিক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন কুলাঙ্গার ঝুমন দাস আপন কে শুধু গ্রেফতার করলে হবেনা পাশাপাশি যারা তার পোস্টে সহমত পোষণ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী মন্তব্য এবং আল্লামা মামুনুল হক সাহেব কে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছে তাদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে, অন্যতায় মুসলিম জনতা ঘরে বসে থাকবে না। আমরা প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাই।
দিরাই উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক ও হেফাজতে ইসলামের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এবিএম নোমান বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির তীর্থভূমি দিরাই শাল্লার ঐতিহ্য বিনষ্ট করে শাল্লার কুলাঙ্গার ঝুমন দাস আপন
এদেশের শীর্ষ ইসলামিক স্কলার আল্লামা মামুনুল হক সাহেব কে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ছবি বিকৃতি করে জুতার মালা সংযোজন করার ধৃষ্টতা অমার্জনীয় অপরাধ।
ইতিমধ্যে গ্রেফতারকৃত ঝুমন দাস কে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যতায় মুসলিম জনতার হ্নদয়ের রক্তক্ষরণ বিস্ফোরিত হয়ে ক্ষোভের দাবানল এসব কুলাঙ্গার ইসলাম বিরোধীদের লাগাম টেনে ধরতে বাধ্য হবে।