প্রতিনিধি ৩১ জানুয়ারি ২০২১ , ১০:২৮:৩৭ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্ক।। গতকাল শনিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মির্জাপুর পৌর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সালমা আক্তার শিমুল নৌকা প্রতীকে ১২ হাজার ৪৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফরিদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৯১০ ভোট।
গত বছর ১১ ফেব্রুয়ারি পৌর মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমনের মৃত্যু হলে নির্বাচন কমিশন একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ১০ অক্টোবর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রয়াত মেয়র সুমনের স্ত্রী সালমা আক্তার শিমুলকে মনোনয়ন দেন। অন্য দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। পৌরসভা পরিষদের মেয়াদ পুর্ণ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি মির্জাপুর পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করেন। এ নির্বাচনে শিমুল ও মির্জাপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শহীদুর রহমান ছাড়াও আরো ৪ প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। দল শিমুলকে মনোনয়ন দেন।
৩০ জানুয়ারি রেকর্ডসংখ্যক ভোট পেয়ে সালমা আক্তার শিমুল দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।
এ পৌরসভায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের (১, ২, ৩) সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আফসানা আক্তার ১ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আসমা ইসলাম (আনারস) ১ হাজার ৬৭৭ ভোট ও ঝুমা বেগম (অটোরিক্সা) ১ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে (৪, ৫, ৬) রওশন আরা (আনারস) তিনি ২ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রোজী রহমান (চশমা) ১ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়েছে।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে (৭, ৮, ৯) চন্দনা দে (টেলিফোন) ২ হাজার ২২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলেয়া বেগম (আনারস) ১ হাজার ১২০ ভোট, অর্চনা সরকার (চশমা) ৯৫৪ ভোট, আঙ্গুরী বেগম ৪৪৪ ভোট পেয়েছেন।
কাউন্সিলর পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে জলিল খান (৭৯২ ভোট), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান কাউন্সিলর এস এম রাশেদ (৭৫১ ভোট), ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হক (৮৫২ ভোট) তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান কাউন্সিলর আমিরুল কাদের লাবন (৭৮৪ ভোট), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আলী আজম সিদ্দিকী (১৩৩০ ভোট), নিকটতম বিপ্লব (৭১৫ ভোট), আলমগীর মৃধা (৫৮৩ ভোট), আলমগীর হোসেন (৩৬ ভোট), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান (৬৯০ ভোট), নিকটতম মিন্টু মিয়া (৫৭৮ ভোট), বর্তমান কাউন্সিলর সাজু মিয়া (৪৪৩ ভোট), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রউফ দুলাল (৪১৮ ভোট), নিকটতম আলী আজম (৩৬০ ভোট), ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৪৫ ভোট), বর্তমান কাউন্সিলর শিপন মিয়া (৩০৬ ভোট), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড বওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক (৫৮০ ভোট), নিকটতম সুলতান মিয়া (৪০৫ ভোট), নজরুল ইসলাম (৩৪০ ভোট), আলমগীর হোসেন (১২৯ ভোট), সাবেক কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন (২৭ ভোট), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শামীম খান (৬৮৮ ভোট), নিকটতম টানা তিনবারের কাউন্সিলর আলী আজম খান (৬৭৮ ভোট), কানাই কর্মকার (৫২ ভোট), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তাপস সাহা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে টানা তৃতীয়বারের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন (৫০২ ভোট), নিকটতম সাবেক কাউন্সিলর আফজালুর রহমান ছানু (৪০৮ ভোট), আব্দুল লতিফ (২৩৮ ভোট) ও আবু সাইদ (১৭৪ ভোট)।
৯ ওয়ার্ডের ১০ কেন্দ্রে ২২ হাজার ৩৪৯ জন ভোটারের মধ্যে ১৫ হজার ৯০৫ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। শতকরা ভোট পড়েছে ৭১ ভাগ।
মির্জাপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোর্শেদা আক্তার, দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা লাবনী আক্তার, তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রোজী আক্তার, শেফালী বেগম, আরজিনা জানান, কম বয়সে দুটি ছেলে সন্তান নিয়ে বিধবা হয়েছেন শিমুল। তার বয়স কম হলেও শিক্ষিত, সুন্দর, ভদ্র, মার্জিত এক নারীকে তারা মেয়র নির্বাচিত করেছেন।তারা বলেন, সবাই সব শিখে জন্ম গ্রহন করেন না। কর্মই তাকে সব শিখিয়ে দেন। সালমাও মেয়র হিসেবে ভালো করবেন।
কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অবাদ, নিরেপেক্ষ ও সকলের অংশ গ্রহণে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা হওয়ায় পৌরবাসী খুশি বলে তারা জানান।