• অনিয়ম / দুর্নীতি

    জামালগঞ্জের সুরমা নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের লিখিত অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১:৩৬:৪১ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:- সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কামলাবাজ থেকে মান্নানঘাট বাজার পর্যন্ত সুরমা নদীর দুই তীরে বালি পাথর সংগ্রহকারীদের (ডাম্পিং) ইজারাদার কতর্ৃক নির্যাতনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে । বাল-পাথর সংগ্রহকারী ও শ্রমিক সর্দার শফিকুল ইসলাম, কারুজ্জামান ও অমিরুল ইসলামসহ ৭০ জন স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ গতকাল মঙ্গলবার জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসাররের কাছে দাখিল করা হয়েছে।

    লিখিত অভিযোগে বৈধ বালু-পাথর সংগ্রহকারী সমিক সর্দার দাবী করে তারা জনান, জামালগঞ্জে উল্লেখিত সুরমার দুই তীরে দীর্ঘদিন ধরে বালু-পাথর সংগ্রহ করে ব্যাবসা করে আসছেন। এতে এলাকার প্রায় হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সংসার চালিয়ে আসছেন। হঠাৎকরে কয়েকজন ব্যাসায়ীদের কাছ থেকে চঁাদা আদায় করছে। এত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। চঁাদা আদায়কারী লোকজজন চঁাদা দিতে অস্বীকার করলে জোর-জুলুম করে নির্যাতন করছে। টাকার জন্য চঁাদাবাজরা নৌকার বালি আনলোড করতে বঁাধা দিচ্ছে। এতকরে শ্রমিক দের সারা দিনের শ্রম ও আর্থিক খাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নির্যাতনের মাত্র দিনদিন বাড়াতে এলাকার কাজকর্ম প্রায় বন্ধের পথে হওয়ায় হাজারো শ্রমিক পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এভাবে গায়ের জোরে চঁাদা আদায় করলে ব্যাবসা বন্ধ হলে সরকারের লাক-লাখ টাকা রাজস্ব হারানো সহ শ্রমিকদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। দ্রুত চাঁদাবাজি বন্ধ করে শ্রমিকদের কাজের সুবিধা ও ব্যবসায়ীদের ব্যাবসা পরিচালনা করার সহায়তা চেয়েছেন।
    এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন, বিষয়টি প্রথমে আমি মৌকিখ জেনেছি, শ্রমিক সর্দাররা ও ব্যবসায়ীরা লিখিত অভিযোগ করেছেন, খুঁজ নিয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।##
    কুলেন্দু শেখর দাস
    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
    ১০.১২.১৯

    আরও খবর

    Sponsered content