প্রতিনিধি ৫ জানুয়ারি ২০২১ , ৩:৩৮:৫৯ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ নাঈম তালুকদারঃ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পৌর সদরে অবস্থিত হাজী মাহমুদ মিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল জলিল ও দিরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হুসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন ও মাদরাসা সুপার আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী পদে অংশগ্রহণকারী পরিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ০২-০১-২০২১ ইং তারিখে দিরাই পৌর সদরে অবস্থিত হাজী মাহমুদ মিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
নিয়োগ পরিক্ষায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেনের বাসার বোয়া (চাকরাণী) ফাতেমা বেগমকে একটি অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট তৈরি করে আয়া পদে নিয়োগ দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার!
অশিক্ষিত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ফাতেমাকে নিয়োগ দেওয়ায় এলাকার শিক্ষিত সমাজ ও অভিভাবকগণ ফুঁসে উঠেছেন।
ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ ও হতাশার কথা প্রকাশ করেন অনেকে লেখেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন অশিক্ষিত মহিলা কিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়া হয়?
অনিয়ম দুর্নীতি ও নিয়োগ বানিজ্যের কারণে নিয়োগ কমিটির এক সদস্য বলেন- মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন ও মাদরাসার সুপার আব্দুল জলিল সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যের যোগসাজশে নিয়োগ কৃত পদে জালিয়াতি, স্বজনপ্রীতি এবং অর্থের বিনিময়ে ভূয়া সার্টিফিকেট দ্বারা নিয়োগ দেওয়ায় অনেক যোগ্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে আমি অনুরোধ করেছিলাম নিয়োগ না দিতে কিন্তু আমি বাদে বাকি সকল সদস্য তড়িঘড়ি করে মোটা অংকের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন! গ্রস্থাগার পদে ৬ লক্ষ টাকার ঘুষের অভিযোগে নিয়োগ স্থগিত রয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও অধ্যক্ষের এহেন কার্যকলাপের কারণে স্বচ্ছ নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষার প্রতিবন্ধকতা থাকায় অবৈধ সদস্যকে বাদ দিয়ে আবেদনকারী সাহাব উদ্দিন সহ নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডে এইএসসি যোগ্যতাসম্পন্ন যোগ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সদস্যকে মনোনীত করে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে (গত ৫ ই জানুয়ারী ) লিখিতভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন ও মাদরাসা সুপার আব্দুল জলিল বলেন- আমরা এনিয়ে কোন দূর্নীতি করি নাই, যোগ্যলোক গুলোকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।