প্রতিনিধি ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ৫:১৪:১২ অনলাইন সংস্করণ
কানাইঘাট প্রতিনিধি: কানাইঘাট উপজেলা বিট কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি, শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ২০২০ইং। এক প্রেস বার্তায় সম্প্রতি সিলেটের কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি তার প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেছেন, “কানাইঘাটে গাছপালা উজাড়, বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গানো সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে নানা রকম কল্প-কাহিনী সাজিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।” যাহা আদৌও সত্য নহে। তিনি তার প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন- স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে আমি সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি কানাইঘাট উপজেলা বিট কর্মকর্তা হিসাবে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সহিত আমার উপর সরকারের দেয়া দায়িত্ব পালন করে আসছি। এতে কিছু অসাধু লোকজন তাদের স্বার্থ হাছিল করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
এতে বিভিন্ন মিডিয়ায় তারা তুলে ধরেন আমি সহযোগীতা করে সুরাইঘাট রাস্তার গাছ কর্তন করিয়েছি। অতচ উক্ত গাছ কর্তনের বিরুদ্ধে মামলা গঠন করা হয়েছে। এরপর তারা উল্লেখ করেছেন আমি মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোয়ারী দেওয়ার কথা বলে টাকা- পয়সা হাতিয়ে নিয়েছি। কিন্তু এর কোন প্রমান তারা দিতে পারবেনা। কেননা কোয়ারী সম্পর্কিত বিষয় অন্য দপ্তরের। এখানে আমার কোন হস্তক্ষেপ নাই। এছাড়া উক্ত সংবাদ সমূহে আমি এবং আমার এলাকার মন্ত্রী মহোদয়ের বিরুদ্ধে তারা যে অপবাদ তৈরি করেছে তাহা কোন ভাবে কাম্য নহে। এরপর তারা উল্লেখ করেছে আমি নাকি রিজার্ভ বাগান ধ্বংস করছি। এ কথারও কোন প্রমান তাহারা দিতে পারবেনা। কেননা আমার জানামতে এখন পর্যন্ত কোন ব্যাক্তিকে রিজার্ভে কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি এবং আমার প্রতিবাদের কারণে সংঘবদ্ধ গাছ চোরের দল ও জবর দখল কারিরা মোবাইল ফোনে আমাকে নানা ধরনের হুমকি-দমকি প্রদান করছে। প্রমান স্বরুপ রির্জাভের জায়গায় কিছু অবৈধ দখলদার অবৈধ ভাবে ঘর তুলতে গিয়ে আমার বাধার মূখে বর্তমানে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আমি নাকি দু’জন লোকের কাছথেকে হাজার হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছি। এরও কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারবেনা। এছাড়া তারা উল্লেখ করেছে আমি নাকি ফার্ণিচারের দোকান থেকে মাসিক উৎকোচ গ্রহণ করি। অতচ আমার জানামতে কোন ফার্ণিচার দোকান মালিক বিট কর্মকর্তা হিসাবে আমাকে চিনেনা।
কানাইঘাট উপজেলা বিট কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, আমাকে টার্গেট করে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় যে বিষয় গুলোর উপর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে রিপোর্ট করা হয়েছে। আমি মনে করি আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত এসব রির্পোট সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তাই আমি মনে করি কিছু সংখ্যক মিডিয়ার রির্পোটার’রা আমার কাছথেকে অবৈধ মুনাফা হাসিল করতে না পেরে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমার মান-সম্মানকে নষ্ট করার জন্য এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে আমি উক্ত এসব প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে মিথ্যা কল্প কাহিনী সাজিয়ে এধরণের উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট রির্পোটার বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করছি।