• অনিয়ম / দুর্নীতি

    শাল্লায় প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পে বিএনপি নেতাদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

      প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ৪:১৮:৫৩ অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক।। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আব্দুল আল নোমান ও আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নোমান ও আশরাফুলের বিরুদ্ধে ঘর প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ক’শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পে হতদরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষদেরকে ঘর উপহার দেওয়া হবে। এমন খবরে উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামীণ জনপদের গরীব অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো একটি পাকা ঘরের আশায় ও গ্রামের গরীব মানুষদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ইচ্ছেমতো সবার কাছ থেকে টাকা তুলেছেন নোমান ও আশরাফুল । কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে বিনাখরচে এই ঘর দেওয়া হবে। আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল তালুকদার জানান গ্রামের সহজ সরল মানুষের অসাহয়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিএনপি নেতা নোমান ও আশরাফুল যা করেছে তা সত্যিই নিন্দনীয়। আমি দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মাফিকুল ইসলাম জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রকল্পে টাকা নিয়ে বিএনপি নেতারা উন্নয়নকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। আমি এর সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি। আমি আশা করি যারা প্রকৃত গরীব, তারা যেন এই প্রকল্পের আওতায় এসে উপকৃত হয়। আটগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিহির কান্তি তালুকদার জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষের উপহার স্বরুপ ভূমিহীনদের ঘর প্রদানের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কিন্তু একটি সিন্ডিকেট তাদের ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের জন্য, যে কর্মকান্ড করছে, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, এবং তাদের শাস্তি দাবি করছি। আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা রুবায়েত হোসেন চৌধুরী রবিন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি কুচক্রী মহল নানান পায়চারা করছে। যে বা যাহারা টাকা নিচ্ছে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় আনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট দীপু রঞ্জন দাস জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই, আমি এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিব, আর প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পে কারো কোন দূর্নীতি প্রমাণিত হলে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মুক্তাদির হোসেন জানান , প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content