• অনিয়ম / দুর্নীতি

    এমপি রতনের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্তে দুর্নীতির সত্যতা মিলেছে, বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন!

      প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৮:৫৬:২৪ অনলাইন সংস্করণ

    ভাটি বাংলা ডেস্কঃ- বহুল বিতর্কিত সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি রতনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তদন্ত শেষের পথে, অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে তাদের বিরুদ্ধে, তাই যে কোন সময় বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। দু’দকের একটি বিশেষ টীম সাংসদ রতনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ পেয়েছে তার তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দুদক। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
    ইতিমধ্যে,ক্যাসিনোকাণ্ডে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রতনের ব্যাংক হিসাব ইতিমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দু’র্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ-সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপারের (ইমিগ্রেশন) কাছে পাঠানো হয়েছে বলে দুদকসূত্রে জানা গেছে।
    অ’বৈধ ক্যা’সিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজে গঠিত দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রধান ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এ চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দেশে মানি লন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দু’দকের অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছেে।
    এমপি রতন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও দুদকের অভিযুক্ত হওয়ার পরও সুনামগঞ্জের অন্যন্য এমপি মন্ত্রীর সাথে মিলে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের এবং উপজেলা সম্মেলন ও কমিটি বানচাল করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। সারা বাংলাদেশে যখন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন ও সম্মেলন নিয়ে আনন্দ উৎসব বিরাজমান সেখানে দুর্নীতিবাজ ও হাইব্রিড এমপিদের কমিটি আটকানোর ঐক্য! তাদের লুটপাট অব্যাহত রাখা ও অনুগত অনুপ্রবেশকারীদের কমিটিতে রাখতে চাপপ্রয়োগ করার কৌশল বলে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা।
    নজরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধেও প্রমাণ পেয়েছে দুদকঃ-
    এদিকে, অ’বৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়নগঞ্জের আলোচিত সাংসদ সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। দুদকের পরিচালক ইকবাল হোসেন জানান, সাংসদ বাবুর জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের খোঁজ মিলেছে।

    ব্যাপক অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন সাংসদের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে তার মধ্যে সাংসদ রতন ও বাবুর বিষয়টি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জানান, যেহেতু দু’জনই সাংসদ সেহেতু তাদের বিষয়টি কিছুটা স্পর্শকাতর। তাই সবকিছু গোঁছগাছ করেই দুদক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে।
    দুদকের একটি সূত্র জানায়, অবৈধ ক্যা’সিনোকা’ন্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী সাংসদের বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চলছে। তাদের ব্যাপারেও অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
    সূত্রঃ- বাংলা ম্যাগাজিন অনলাইন।

    আরও খবর

    Sponsered content