প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২০ , ৫:০৪:৫৯ অনলাইন সংস্করণ
সুব্রত দাস খোকন: শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী বলেন, অপশক্তি নয়, আওয়ামী লীগের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা বিশ্বাস ঘাতক আওামীলীগারাই আওয়ামী লীগের ক্ষতি করে। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্টের ট্র্যাজিডি বাঙ্গালী জাতীর সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। কিছু উশৃঙ্খল সেনা কর্মকর্তা এই ট্র্যাজিডি ঘটাতে সাহস পেয়েছিল আওয়ামী লীগ নামধারী বেঈমান, ইতিহাস সেরা বিশ্বাস ঘাতক খন্দকার মোস্তাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুরের আশ্রয় প্রশ্রয়ে। জাতীর জনকের হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে আপোসহীন, বিশ্বাসের মূর্তপ্রতিক, নীতির জন্য জীবন উৎসর্গকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এএইচএম কামরুজ্জামানকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল জেলের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বরের ট্রাজিডি ও খন্দকার মোস্তাকের নির্দেশেই হয়েছিল। তাই আওয়ামী লীগের ভেতরে বেঈমান, মোনাফিক দলীয় আনুগত্যহীন আওয়ামী লেবাসধারীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে বয়কট করতে হবে।
জেল হত্যা দিবস ২০২০ উপলক্ষে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো তিনি বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় চার নেতার স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ঊদীয়মান উপজেলা যুবলীগ নেতা অজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল, সুবল দাস, এমদাদুল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাস, আওয়ামী লীগের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক নওশের মণির, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু, যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু, ফেণি ভূষণ দাস, এনামুল বারী লেলিন, ছাত্রলীগ নেতা পলাশ চৌধুরী, আজাদ মোহাম্মদ আলেক প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান আরো বলেন, অতীতের সমস্ত ষড়যন্ত্রকে উপক্ষো করে আওয়ামীলীগ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। অতীতে প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে দিরাই শাল্লার আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল। বর্তমানে ড. জয়াসেন গুপ্তার নেতৃত্বে একতাবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বি নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু কিছু লেবাসধারী আওয়ামীলীগার নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ১৭ এর উপনির্বাচনে দলের ভেতরে থেকে নৌকার বিরোধিতা করেছিল। তারপর ১৮ এর জাতীয় নির্বাচনে গ্রাম শাল্লায় দলের পক্ষে জনসভা করে আসার পথে রাস্তায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়েছিল। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রকে উপক্ষো করে দেশরতœ শেখ হাসিনার নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিল। তাই এইসব ষড়যন্ত্রকারীদেরকে দিরাই শাল্লার মানুষ চিনেছে। ইতিহাস তাদেরকে কোনোদিন ক্ষমা করবে না।