• আহত / নিহত

    জগন্নাথপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর নেত্রকোনার ফটোগ্রাফারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

      প্রতিনিধি ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৮:১৮:২০ অনলাইন সংস্করণ

    জগন্নাথপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর নেত্রকোনার ফটোগ্রাফারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ– ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে জীবিকা অন্বেষনে আনন্দ সরকার এসেছিলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, এখন নিজের জীবনের চাকাই চিরদিনের জন্য থামিয়ে দিল কিছু দুর্বৃত্তরা! তদন্তে হয়তো বেড়িয়ে আসবে কারা জড়িত ছিল এমন বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে।
    গত চারদিন ধরে নিখোঁজ নেত্রেকোণা মোহনগঞ্জের ফটোগ্রাফার আনন্দ সরকারের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে সিআইডি।
    গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সিএ মার্কেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার কামাল কমিউনিটি সেন্টারের এক স্টুডিওর ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
    নিহত আনন্দ সরকার নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাইনারী ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের সুণীল চন্দ সরকারের ছেলে। তিনি পাঁচ বছর ধরে জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর শহরের একটি স্টুডিওতে প্রথমে চাকরি নেন। পরে নিজ নামে আনন্দ স্টুডিও দোকান খুলে ব্যবসা করছিলেন।
    স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্টুডিওটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। অনেকে মনে করেছিলেন আনন্দ সরকার হয়তোবা কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য গেছেন। এদিকে এনজিও থেকে ঋণের টাকা উত্তোলনের পর দুর্বৃত্তরা টাকার লোভে তাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে বলে এমন ধারণা করছেন অনেকেই।
    নিহত আনন্দ সরকারের মা জোছনা রাণী সরকার জানান, সোমবার রাত ৮টায় আমার ছেলের সঙ্গে মুঠোফোনে শেষবারের মত কথা হয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কথা হয়নি। পরদিন সকালে আমার ছেলেকে ফোন করলে সেটা বন্ধ পাই। এভাবে তিনদিন মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে জগন্নাথপুর এসে আমার ছেলের দোকান বন্ধ পেয়ে প্রথমে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে এবং পরে থানায় জানাই। পরে জানতে পারি তালাবদ্ধ দোকানের ভেতরে আমার ছেলের মৃতদেহ রয়েছে।
    জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী মিডিয়াকে জানান, আনন্দ সরকারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
    লাশটি উদ্ধার করে উপজেলার মরচুয়ারীতে রাখা হয় এবং আজ শুক্রবার সকালে আনন্দ সরকারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content