প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২০ , ১০:৪৩:২৯ অনলাইন সংস্করণ
গাজী আসাদুজ্জামান রাকিব, (বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি)।। বাকেরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে নাকাল হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গড়ে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহক। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় মাত্র ১৪ ঘণ্টা। ফলে এই তীব্র গরমে এলাকার মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা।
এদিকে ভয়াবহ এই লোডশেডিং থেকে মুক্তি পেতে গ্রাহকেরা বুকে ‘বিদ্যুৎ দাও, নইলে জীবন নাও’ প্ল্যাকার্ড লিখে রাস্তায় অভিনব প্রতিবাদ নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন। বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে তোলপাড়। কেউ কেউ বলছেন, লোডশেডিংয়ে সরকারের সুনাম নষ্ট করতেই পল্লী বিদ্যুতের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী এ অবস্থার তৈরি করছে। ফলে সরকারের প্রতি মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। লোডশেডিং বর্তমানে বাকেরগঞ্জবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১০ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।
লোডশেডিং, টেকনিক্যাল সমস্যা, ওভার লোড ও লো-ভোল্টেজ ছাড়াও রয়েছে ঘন ঘন ট্রিপ ও সোর্স লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সর্বোপরী বর্ষা মৌসুমে আকাশে মেঘজমতে দেখলেই শুরু হয় লোডশেডিং। আর একটু-আধটু বৃষ্টি হলে তো আর কয়েক ঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবেই। সেটা যেন নিয়মেই পরিণত হয়েছে। অনাবিজ্ঞ টেকনিসিয়ান দ্বারা কাজ৷ আর বৈদ্যুতিক লাইনে জোড়াতালির কারণে নেগেটিভ পজেটিভ এক হয়ে প্রায় সময় ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়ে বিকট শব্দের সৃস্টি হয় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। এ কারণে হার্ড দুর্বল মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকির পাশাপাশি অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তাদের এমন খামখেয়ালিপনার কারণে মানুষ প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুত বিভাগে কোন অভিযোগ দিলে তার কোন সমাধান না করে উল্টো ওই অভিযোগকারীদের নানানরকম হয়রানির মাধ্যমে বিভ্রান্তিতে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে। প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা ঠিকভাবে করতে পারছে না। লোডশেডিং থাকার পরও বিল দিতে হচ্ছে অনেক বেশি। ফলে বিদ্যুৎ বিভাগ হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে, সরকারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ জনগণ।
সদর রোডের ব্যবসায়িরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে আমরা দিশেহারা। তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে কোন কাস্টমার দোকানে বসতে পারে না। ফলে বেচাকেনাও করতে পারছি না। বিশেষ করে কনফেকশনারি দোকানের ফ্রিজের মালামাল নস্ট হয়ে যাচ্ছে।