প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১:০৬:৪৮ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরে একটি রাস্তার মাটি ভরাটের সরকারি টাকা প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আত্মসাত করেছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও অভিযোগ পত্র থেকে জানাযায়, সুনামগঞ্জের উপজেলার ১নং কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত নাদামপুর নালার খাল থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের জন্য স্থানীয় সাংসদ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান (২০১৯-২০২০) অর্থ বছরে এক লাখ টাকার বরাদ্ধ দেন। তবে প্রকল্প সভাপতি নাদামপুর গ্রাম নিবাসী মৃত হাজী ছৈয়দ উল্লার ছেলে আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক একই গ্রাম নিবাসী মৃত খতিব উল্লাহর ছেলে আঙ্গুর মিয়া এই রাস্তায় নাম মাত্র কাজ করে তা আত্মসাত করেছেন এবং জনাব মুক্তাদির আহমদ মুক্তা জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে তিনির মাধ্যমে আবুল কালাম গং ব্যক্তিবর্গ ১৬ নং হিজলা নাদামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে সুপার খালের পাড় হয়ে মজিদপুরস্থ বশির মিয়ার বাড়ীর রাস্তা পর্যন্ত মাটি ভরাটের জন্য ১৫০০০০( এক লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বরাদ্দ নিয়ে কাজ না করেই টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে গতকাল ১৪ ই সেপ্টেম্বর নাদাম,মজিদপুর ও ফরিদপুর গ্রামের জনসাধারণ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে । জনস্বার্থে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তিন গ্রামের জনসাধারণ। এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন,অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত রাস্তা গুলো সংস্কার না হওয়ায় আমরা নাদামপুর, মজিদ ও ফরিদপুর গ্রামের জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে পড়েছি। আবুল কালাম ও আঙ্গুর মিয়া রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা কাজ না করেই আত্মসাত করেছেন। আমরা তিন গ্রামের জনসাধারণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। জনস্বার্থে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবাল হাসান সাজাদ বলেন, মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী উল্লেখিত একটি রাস্তার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন এবং আরেকটি রাস্তার জন্য জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন রাস্তা দুটির পুরোপুরি কাজ হয়নি । নাম মাত্র কাজ করে তা প্রকল্প সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর মিয়া আত্মসাত করেছেন। তারা দুজন আপন চাচাতো ভাই। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।