প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২০ , ১:৫২:১৮ অনলাইন সংস্করণ
মাহমুদ আহসান হাবিব ঠাকুরগাঁওঃ সারাদিন মুখ দিয়ে লালা পড়ে ২০ বছর বয়সী বেতালের। থাকেন রুহিয়া থানাধীন ঘনিমহেষপুর (উত্তরা বাজার) এলাকায়। বেতাল কথা বলতে পারেন না, খেতেও পারেন না নিজের হাতে। জন্মের পাঁচ মাসের মধ্যে শনাক্ত হয় তাঁর শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা। সেই থেকে সরকারি চিকিৎসা আর পারিবারিক যত্নে কোনোক্রমে টিকে ছিলেন বেতাল। করোনা আসায় তাঁর দরিদ্র পরিবারে নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, বেতালের চিকিৎসার টাকা কোথা থেকে আসবে?’ করোনায় প্রতিবন্ধী মানুষেরা এমনিতেই নানান অসুবিধায় ছিলেন, চিকিৎসার অপ্রাপ্তি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অপারগতা, গৃহবন্দী থাকার সমস্যার পাশাপাশি নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোয় যুক্ত হয়েছে আর্থিক সংকট। যার প্রভাব পড়েছে এসব পরিবারের প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর চিকিৎসায়। বেতালের বাবা নিজেও একজন প্রতিবন্ধি, একটা পা নেই তার। তারপরেও জীবিকার প্রযোজনে তিনি অটোভ্যান চালান। করোনায় জীবিকা হারানোয় বেতালের প্রতিবন্ধি বাবা মিলন বর্মণ চালাতে পারছেন না বেতালের চিকিৎসা। করোনার আগে বেতালের বাবা অটোভ্যান চালাতেন। করোনা আসায় ভাড়া কমে গেছে। বেতালের বাবা বলেন, ‘আগে যেখানে মাসিক আয় ছিল চার-পাঁচ হাজার টাকা, তা এখন এসে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার টাকায়। বেতালের চিকিৎসা এখন বিরাট বাহুল্য। আবার, ওষুধ ছাড়া রাখাও যায় না বেতালকে ওষুধ বন্ধ হলে আরও অস্থির হয়, ঘুমাতে চায় না। বাড়ির মানুষদের মারধর করে, বাইরে এসে প্রতিবেশী শিশুদেরও মারে।’ দরিদ্র এ পরিবার গুলো করোনায় জীবিকা হারিয়ে হয়েছে নিঃস্ব। তাঁদের জন্য সেভাবে আসেনি কোনো সহযোগীতা।
ঠাকুগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সরকার প্রতিবন্ধীসহ সকল নিম্নবিত্তদের জন্য সর্বচ্চ্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রতি ইউনিয়ন থেকে ২শ জনের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তাদের ত্রাণসহ প্রযোজনীয় সহযোগীতা করা হবে।