প্রতিনিধি ১৩ জুলাই ২০২০ , ১১:২৬:১৮ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। দ্বিতীয় দফা গত ৬দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও এখন নদনদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও রাস্তাঘাট, বাসাবাড়িতে পানি থাকায় পানিবন্দি রয়েছেন লাখো মানুষ। এদিকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক দোয়ারা বাজার, তাহিরপর বিশ্বম্ভরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা এই সমস্ত উপজেলার নিম্নাঞ্চলে এখন পাডিন বাড়তে শুরু করায়
নতুন নতুন এলণাকা প্লাবিত হচ্ছে বলে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা যায়,গত ২৪ ঘন্টায় আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত শহরের ষোলঘর পয়েন্টস্থ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা গতকালের চেয়ে ১১
সেন্টিমিটা্র কম হলেও শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট ও বাসা বাড়ি পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের কাজির পয়েন্ট,উকিলপাড়া,নতুনপাড়া,বড়পাড়া সাহেববাড়ি ঘাট,ষোলঘর হাজিপাড়া, জামতলা সহ অধিকাংশ এলাকার বাসাবাড়িতে পানি থাকায় লোকজন ঘরে বাহিরে বের হতে না পারায় কাদ্য সংকটে রযেছেন লাখো পরিবার। সুনামগঞ্জ শহরের ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য কাচাঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সহ রোপ আমন,পুকুরের মাছ নদীর পানিতে ভেসে গিয়েছে গবাধি পশুর খাদ্য সংকট ও চরম আকার ধারন করেছে।
এদিকে জেলা শহরের সাথে -বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিপুর,দিরাই শাল্লার একমাত্র সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন গত ২৭ জুন থেকে দুই দফা বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারের
নির্দেশে প্রশাসন বন্রার্তদের জন্য ৮৫৫ মেট্রিক টন চাল,নগদ ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা,মিশু
খাদ্য হিসেবে ২ লাখ ও গোবাধি পশুর খাদ্য হিসেবে আরো ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে তা প্রতিটি উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে খুলে ২ হাজার ২৯৭টি পরিবারিকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে এবং দুই হাজার শুকনো খাবারের
প্যাকেজ মজুদ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং গতকাল বিকেল থেকে জেলা শহরের সরকারী কলেজে ও কুরবান নগর ইউনিয়নে বন্যার্তরা
আশ্রয় নিয়েছেন তাাদের মাঝে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শুকনো খাবার চিড়া,মুড়ি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।