মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধি: ৯ জুন ২০২৫ , ১২:৪৩:৪১ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর বাজারে এক নিরীহ কৃষকের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এ ঘঠনা ঘটে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, ঢালাগাও গ্রামের মৃত মহরম আলী’র ছেলে আয়ফর আলী ব্যাক্তিগত কাজে রামেশ্বরপুর বাজারে আসলে এলাকার চিহ্নিত দাঙ্গাবাজ মর্তুজ আলী ছেলে খোকন, রোকন, মনিরের ছেলে রুবেল, সামছুদ্দীনের ছেলে মুতিউর রহমান সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে নিরীহ আয়ফর আলী’র উপর হামলা করেন।
আয়ফর আলী তাদের আঘাত সইতে না পেরে প্রাণ রক্ষা’র জন্য স্থানীয় বাজারস্থ একটি হিন্দু পরিরারের ঘরে আশ্রয় নিলেও তারা তার পিছু ছাড়েনি। তিনি প্রাণের ভয়ে শ্রী ঘোপাল কর নামের এক হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে গিয়েও রক্ষা পান নি।
হিন্দু পরিবারের দরজা -জানালা ভেঙ্গে মানিকের ছেলে রুবেল আবার আক্রমন শুরু করেন। নিরীহ আয়ফর আলী তাদের অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। আয়ফর আলীকে রক্ষা করতে আসলে সন্ত্রাসী বাহীনি হিন্দুদের উপর ও উত্তেজিত হন। রুখন ও রুবেলের দ্বারা এক হিন্দু মহিলা মারাত্মক আহত হন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা দিন আছেন।
নিরীহ আয়ফর আলী বলেন, আমি একজন খেটে খাওয়া মানুষ। আমার জায়গায় জমি দখল করার জন্য আমার পিছনে লেগে আছে এই সন্ত্রাসী বাহীনি। আমি আজ বাজারে আশা মাত্রই গ্রামের সন্ত্রাসী বাহীনি মিলে আমার উপর তারা আক্রমন শুরু করেন। আমি হিন্দু ভাইদের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়ে আজ তাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। নইলে আজ রুকন, রুবেলের হাতে আমার মৃত্যু হতো। আমি ও আমার পরিবার দুশ্চিন্তায় আছি। যে কোন সময় ঘঠতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এমন কি তাদের হাতে আমার প্রাণও যেতে পারে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবী করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রুখন ও রুবেল’কে একাধিক ফোন করলে তাদের নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
শান্তিগঞ্জ থানা’র অফিসার ইনচার্জ আকরাম আলী বলেন, মারামারি খবর শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১ | ১৩ |
৪ | ১৫ | ১৬ | ১ | ৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২ | ৯ | ৩০ |